সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার সাগর দীঘি উপনির্বাচনে শাসক দল তথা তৃণমূলের পরাজয়ের পর থেকে চাপের মুখে রয়েছে নেতা মন্ত্রীরা, গত শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের সকল নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে জেলার দুই সাংসদ কে বলেন অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এমনি খবর প্রকাশ হয় মিডিয়াতে। অধীরের হাত ধরে কয়েক শো তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদেন তার পরে রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও প্রাক্তন ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি ও অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নূর সেলিম ইসলাম বাবু দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক দায়িত্ব সামলিয়েছেন কখন যুব সভাপতি, আবার অঞ্চল সভাপতি এবং জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সদস্য রয়েছেন।তিনি বলেন জলঙ্গিতে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যক্তিগত ভাবে দল চালাচ্ছে যারা দলের দায়িত্বে রয়েছেন,আর সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া।তিনি আরো বলেন এতো বেশি দুর্নীতি তৃণমূলের সকাল হলেই দুর্নীতির খবর, রাজ্য কোনো চাকরি নেই, টাকা নিয়ে চাকরি। আগামী ভবিষ্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে নিশ্চয়াতা পাচ্ছে না এই সব দেখেই তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগদান করলাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিটের অফার দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা ও ব্লক সভাপতির পক্ষ থেকে।১৯ টা গাড়ি করে প্রায় দুইশো জন জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ধরেন।অধীর চৌধুরী একজন রাজনৈতিক নেতা যার কাছে সব রকম বিচার পাওয়া যায় বলে জানান সদ্য কংগ্রেসে যোগদান কারি নূর সেলিম ইসলাম বাবু।ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন আভি ত টেলার পিকচার আভি বাকি হ্যায়,তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কংগ্রেস যোগদান করার জন্য সকল যোগদান কারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায় ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ঠিক তেমনি ভাবে জলঙ্গির মাটিতে তৃণমূলের কোনো লোক থাকবে না বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা। জলঙ্গিতে মেগা যোগদান খুব তাড়াতড়ি অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।তৃণমূলের বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন যিনি কংগ্রেসে যোগদান করেছেন তিনি কোনো দিন তৃণমূল করেনী, বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল করেছেন জলঙ্গি বিধান সভায়, এমনকি বিধান সভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীর গাড়ি আটকায়। কিছু দিন তৃণমূল সঙ্গে ঘুরছিলেন টিকিটের জন্য সেটা না হওয়ায় কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। জলঙ্গি দক্ষিণ জোন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোহিত কুমার দেবনাথ বলেন বেশি সুখ ভালো লাগে না তাই আগের জাগায় ফিরে গেলেন। তবে নূর সেলিম ইসলামের দল ত্যাগে কোনো ক্ষতি দলের হবে না। দুই এক জনের জন্য দল থেমে থাকবে না। সর্বভারতীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্ত হাতে দল পরিচালনা করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই যোগদান কোনো ক্ষতি হবে না বলেও ব্লক সভাপতি বলেন। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি জলঙ্গি বিধান সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে তৃণমূল ছাড়ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকটায় চাপে পড়বে শাসক দল তৃণমূল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct