শামিম মোল্লা, হাড়োয়া, আপনজন: ঘটনাটি সোমবার হাড়োয়া থানার ঝাড়াতলা এলাকার ঘটনা। এলাকার দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পঞ্চায়েত সদস্য সহ আহত মোট ৪ জন। আহতদের ভর্তি করা হলো হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শুরু করেছে তদন্ত। আহত পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব মন্ডল এর দাবি “ এদিন সন্ধ্যায় তারা দুই ভাই ঝাড়াতলা এলাকায় ছিলেন, আচমকা মিনাখাঁ বিধানসভার বিধায়ক ঊষারাণী মন্ডলের স্বামী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলের অনুগামীরা তাদের উপর লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে দেয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে অভিযুক্ত বিধায়কের স্বামী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলে’র পাল্টা সাফাই, “ কোন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নয়, পারিবারিক গন্ডগোলের এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো দাবি করেন এই ঘটনার পর অপরপক্ষ ফের বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাড়োয়া। মিনাখা বিধানসভার হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায় একাধিকবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। একদিকে তৃণমূল বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল অপর গোষ্ঠী তৃণমূলের যুব সভাপতি খালেক মোল্লা।। সূত্রের খবর আহত পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব মন্ডল তৃণমূলের যুব সভাপতি খালেক মোল্লার ঘনিষ্ঠ। হাড়োয়া যুব সভাপতি খালেক মোল্লার বক্তব্য, আমার দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে যে বা যারা মেরেছে তা তারা ঠিক করেনি। আমার পঞ্চায়েত সদস্যকে কে মেরেছে সেটা উনিই ভাল জানেন। প্রশাসনের উচিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন এই ঘটনার বিবরণ তিনি দলকে জানাবেন। বলা বাহুল্য মিনাখা বিধানসভা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাট জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, মিনাখাব বিধানসভা তথা বসিরহাট লোকসভা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। মূলত এলাকা দখল, জমি দখল ও ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই গন্ডগোল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের উপযুক্ত জবাব
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct