সাবের আলি, বড়ঞা, আপনজন: দু’মুঠো ভাতের সন্ধানে মুম্বইয়ে রাজমিস্ত্রি কাজে পাড়ি দিয়েছিল স্ত্রী এবং দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে। জামশেদ শেখ, বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার, বড়ঞা থানা, সুন্দরপুর অঞ্চলের, গ্রামের। বাংলায় কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না, বলে জানায় মৃতার পরিবারের লোকজন।
ওই শ্রমিক। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত। তারপরই তাঁর দেহ বড়ঞা থানার বৈদ্যনাথপুর বাড়িতে আসবে বলে জানা যাচ্ছে।মৃতার স্ত্রী রুমা খাতুন বলেন, এ রাজ্যে তো কাজ নেই।
আমরা তো গরিব মানুষ। না খাটলে তো কোনও উপায় নেই। কাজ তো করতেই হবে নাহলে পেট চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে। আমার স্বামী আমার দুই নাবালক সন্তান নিয়ে আমরা বোম্বাই গিয়েছিলাম, স্বামী রাজমিস্ত্রির হেলপার এর কাজ করতো আমি কোয়ার্টারে কোয়ার্টারে গিয়ে থালা বাসন মাজার কাজ করতাম দুজনে কাজ করে সন্তানদের দু’মুঠো খাবার তুলে দিতাম। কিন্তু সে অনেকদিন ধরে অসুস্থ হয়েছিলো টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারিনি। কালকে ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাড়াতাড়ি আমরা বোম্বাইয়ের সরকারি হসপিটালে ভর্তি করি ডাক্তার বাবুরা আই,ইউ,সি,তে পাঠিয়ে দেন, আই,ইউ,সি তে ৫ ঘন্টা থাকার পর তার মৃত্যু হয়। আমরা গরীব মানুষ আমাদের কিছুই নেই দুটো ছোট ছোট নাবালক সন্তান তাদের দুমুঠো খাবার তুলে দেবো ভেবে পাচ্ছি না। বৈদ্যনাথপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, মানারুল শেখ বলেন এই পরিবারটি দারিদ্র পরিবার এদের সংসারে হাল ধরার মতো কেউ নেই, তাই প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা সকলে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ান।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct