সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম: “ভুয়ো ডিসিআর দিয়ে পাথরের গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার তোলাবাজি বন্ধ করো। গরীব সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের সর্বনাশ করে লুঠেরা পুঁজির কাছে ডেউচা-পাচামিকে বন্ধক দেওয়া চলবে না”- এই দাবিকে সামনে রেখে সিপিআইএম রামপুরহাট এক নম্বর ও দুনম্বর এরিয়া কমিটির ডাকে মহা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে। এদিন রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড় থেকে মহা মিছিল সংঘটিত হয়ে শহর পরিক্রমা করে এবং ডাকবাংলা বাংলা মোড়ে জমায়েত হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য নেতৃত্ব শতরূপ ঘোষ,সিপিআইএম জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন ও জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব মল্লিক প্রমুখ নেতৃত্ব। এদিনের সমাবেশে সিপিআইএম রাজ্য নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, মানুষের যেটা পাওনা সেটা পাচ্ছেন না।পশ্চিমবঙ্গে রেশনে চাল লুঠ হচ্ছে।রেশন দুর্নীতিতে শাসক দলের মন্ত্রী জেলে।রেশনে ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল- বিজেপি নাকি পরস্পরের বিরাট বিরোধী। এদের দুর্ভাগ্যজনক যে এরা বিরোধী হওয়ার ফলে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা করতে অসুবিধা হয় না। আরএসএস এর স্কুল খুলতে অসুবিধা হয় না। আর মমতা ব্যানার্জির ভাই- ভাইপোদের চুরি করতে অসুবিধা হয় না। মাঝখানে এদের ঝঞ্ঝাটের জন্য কখনো রেশন আটকে যায়,তো ১০০ দিনের টাকা, আয়ুষ্মান ভারত কার্ডের টাকা ও আটকে যায়। মানুষের ট্যাক্সের টাকায় মানুষের যেগুলো প্রাপ্য খাবার থেকে শুরু করে মজুরি, চিকিৎসা সেগুলো ও রাজনৈতিক মারামারির জন্য আটকে যায় কিন্তু এদের নিজেদের ইনকাম আটকায় না, নিজেদের রাজনীতি আটকায় না। কেন্দ্রে কোনো দল থাকবে, রাজ্যে কোনো দল থাকবে,এর আগেও তো হয়েছে- বামফ্রন্টের আমলেই ১০০ দিনের কাজ চালু হয়েছিল। রেশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে, কিছু কিছু ব্যবস্থা আগেই চালু হয়েছিল। এটা কি সত্যি সত্যি রাজনীতি বলে?
নাকি মানুষের পেটে লাথি মেরে নিজেদের পকেট গোছানো বলে? মন্তব্য করেন শতরূপ ঘোষ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct