আপনজন ডেস্ক: ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে গত দুই দশকে ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ক্রমশ বেড়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার কানাডা প্রথমবারের মতো একজন উপদেষ্টা বা বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন, যিনি জনমনে বিরাজমান ইসলামভীতি কাটাতে নানা পদক্ষেপ নেবেন। বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট আমিরা এলগাওয়াবিকে ইসলামভীতি রুখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইসলামভীতির পাশাপাশি পদ্ধতিগত বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা রুখতে তিনি ভূমিকা রাখবেন। সরকারি নীতি, আইন এবং অন্যান্য কর্মসূচির বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কাজও করবেন। এক বিবৃতিতে ট্রুডো বলেছেন, ‘বৈচিত্র্য সত্যিই কানাডার সবচেয়ে বড় শক্তির একটি, কিন্তু অনেক মুসলমানের কাছে ইসলামফোবিয়া খুবই পরিচিত। আমাদের এটা পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের দেশে কাউকে বিশ্বাসের কারণে ঘৃণা করা উচিত নয়।’
বহু বছর ধরেই কানাডার মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা বর্ণবাদ, ঘৃণা-প্রণোদিত সহিংসতা এবং অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলির প্রসার মোকাবিলা করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ২০২০ সালে গবেষকরা দেখেছেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় সক্রিয় বিদ্বেষী গোষ্ঠীর সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। অনলাইনে ডানপন্থী চরমপন্থীদের মধ্যে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি ছিল মুসলিমবিরোধী বক্তব্য। সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এলগাওয়াবি মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কানাডার পরিচিত মুখ। তিনি ইতঃপূর্বে কানাডিয়ান রেইস রিলেশনস ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। এলগাওয়াবি টরেন্টো স্টার নিউজপেপারের নিয়মিত কলামিস্ট। এলগাওয়াবিকে যে পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা ২০২১ সালে সৃষ্টি করা হয়। উল্লেখ্য, কয়েক বছরে কানাডায় মুসলমানদের ওপর হামলা বেড়েছে। ২০২১ সালের জুনে অন্টারিওর লন্ডন শহরে এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তির গাড়িচাপায় চার মুসলমান নিহত হয়। চার বছর আগে কুইবেক শহরের একটি মসজিদে অচমকা হামলায় ছয় ব্যক্তি নিহত ও পাঁচ ব্যক্তি আহত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct