নিজামুদ্দিনের একটি মসজিদে তাবলিগ জামাতে যোগ দেওয়ার পর ফিরে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০জন মারা গিয়েছেন। এবং আক্রান্তের লক্ষণ থাকায় আরও ২০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থীদের হেড-কোয়ার্টার হিসেবে পরিচিত সেই মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সাড়ে আটশ মানুষকে সেখান থেকে বাসে করে যে যার রাজ্যে ফিরিয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতোমধ্যেই কম করে ২০০ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তার জন্যে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। ২৪ জনের শরীরে ওই সংক্রমণ হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে। সংক্রমিতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি সরকার। এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলার কারণে ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে। বিশাল ওই মসজিদে গত ৯ ও ১০ মার্চ তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজার হাজার ভারতীয় এবং শত শত বিদেশি যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে গিয়ে ৬ জন মারা গিয়েছে তেলাঙ্গানায়। অন্যদিকে শ্রীনগরে মারা গিয়েছে ১জন। ওই মসজিদ থেকে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হিসেবে ১০ জন শনাক্ত হয়েছে আন্দামান এবং নিকোবার দ্বীপে। ওই মসজিদে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমার, কিরগিজস্তান, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, জেবুতি, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ফিজি, ফ্রান্স ও কুয়েত থেকে তাবলিগের সদস্যরা এসেছিলেন। ওই মসজিদে যারা যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।