আপনজন ডেস্ক: শনিবার পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে দুটি চিত্র মিলেছে বাংলায়। তা হল উচ্চ ভোটার উপস্থিতি এবং ভোট সম্পর্কিত সহিংসতা। চলতি নির্বাচনের ছয় দফার ভোটগ্রহণে বাংলার ভোটদানের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি ছিল।
প্রথম পাঁচ দফায় যেখানে জাতীয় ভোটদানের গড় ছিল ৬১-৬৬ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৭৬-৮১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
শনিবার ষষ্ঠ দফায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার আটটি লোকসভা আসনে ভোটদানের হার ছিল ৭৭.৯৯ শতাংশ, যা তখনকার জাতীয় গড় ৫৭.৭ শতাংশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি।
এটা নির্বাচনী রাজনীতির পক্ষে ভাল হলেও, ছ’দফাতেই ভোট সংক্রান্ত উত্তেজনা ও হিংসার খবরে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, গড়বেতায় তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যেসংঘর্ষের খবর মিলেছে। এমনকী ঝাড়গ্রামও অশান্ত হয়ে ওঠে।
এদিকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব শনিবার ষষ্ঠ দফা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর জানান ,বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া রাজ্যে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ।ষষ্ঠ দফা নির্বাচন ছিল শনিবার। ১ কোটি ৩৫ লক্ষ বেশি ভোটার ছিলেন । পোলিং স্টেশন ছিল মোট ছিল ১৫৬০০। ৭৪৮৮০ পোলিং পার্সোনেল ছিল। মাইক্রো অবজারভার, ৭৯ জন প্রার্থী ছিলেন। অবজারভার ছিল ৯ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক ৯ এবং ৬ জন আয় ব্যয় পর্যবেক্ষক ছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল মোট ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। কিউআরটি ৮১৯ । ২০৪৬৮ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়ন ছিল। ৩২.৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া সোনা, মদ, মাদক এবং অন্য দ্রব্য ৪০২.৪ কোটি টাকার মোট উদ্ধার হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটের জন্য ৫৫৪৮৩ জন ছিলেন। পোলিং পার্সেন্টেজ মোট ৭৭.৯৯ % বিকেল ৫ টা পর্যন্ত হয়েছে। ২০১৯ এবং ২০২১ সালের ভোটের হারের তুলনামূলক পরিসংখ্যান দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এই পরিসংখ্যান আরো বাড়বে বলে দাবি আরিজ আফতাবের। ২১০০ মোট অভিযোগ শনিবার জমা পড়েছে কমিশনে। ঝাড়গ্রাম ২ ,বাঁকুড়া ১২, পূর্ব বর্ধমান ২২ ,পূর্ব মেদিনীপুর ২৪৭, পশ্চিম মেদিনীপুর ৪৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আরিজ আফতাবের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। যদিও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct