সুরজীৎ আদক, উলুবেড়িয়া, আপনজন: ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” রবিবার আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে।যার প্রভাবে দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হবে। “রিমাল” মোকাবিলায় তৎপর হাওড়ার জেলা ও ব্লক প্রশাসন।হাওড়া জেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় জেলা ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।শনিবার উলুবেড়িয়া-১নং ব্লকের কালীনগর এবং হীরাপুর অঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে।যাতে ওই এলাকার মানুষরা অযথাই আতঙ্কিত না হন। বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক জানান,”জেলাশাসকের নির্দেশ মোতাবেক এবং মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে আমাদের ব্লকে কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, আমাদের ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।এবং ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। অন্যদিকে,শ্যামপুর-১নং ব্লকের গাদিয়াড়া,শিবগঞ্জ,বানেশ্বরপুর,গুজারপুর সহ নদী এলাকাগুলিতে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ-টিম।ওইসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।ওই ব্লকের বিডিও তন্ময় কার্যী জানান,প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে অস্থায়ী ত্রান শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সেখানে পানীয় জলের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন বিডিও-র উপস্থিতিতে গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছেন শ্যামপুুর থানার ওসি কৌস্তুভ কর্মকার,ব্লকের আধিকারিক অনুপম ধর এবং এনডিআরএফ টিমের সদস্যরা।এর পাশাপাশি বাগনান-১নং ব্লকের কল্যাণপুর ও বাকসিহাটের নদী তীরবর্তী এলাকাতেও মাইকিং প্রচার চালানো হচ্ছে।বিডিও মানস কুমার গিরি জানান,”ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় আমরা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি আরও জানান, জেলাশাসকের নির্দেশ মোতাবেক এবং মহকুমাশাসকের তত্ববধানে ইতিমধ্যেই ব্লক অফিসে কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct