আপনজন ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড-এর মুখপাত্র ড. এসকিউআর ইলিয়াস বলেছেন, বোর্ড একটি পিটিশন দাখিল করেছে। তাতে বলা হয়েছে ইউসিসি আইন সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে এবং মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের পরিপন্থী, যা ১৯৩৭ সালের শরিয়া অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট এবং ভারতীয় সংবিধানের অধীনে সুরক্ষিত। গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড সরকার সে রাজ্যে ইউনিফর্ম সিভিল কোডবিজ্ঞপ্তি জারির পরে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড বেশ কয়েকজন ভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে কোডটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করে। এই ব্যক্তিরা প্রভাবিত পক্ষ এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন মুসলিম ব্যক্তিগত আইন বোর্ডের সাথেও যুক্ত।
আবেদনকারীরা হলেন রাজিয়া বেগ, আব্দুল বাসিত (তারা উভয়ই বিভিন্ন কমিটির রাজ্য আহ্বায়ক), খুরশিদ আহমেদ, তৌফিক আলম, মোহাম্মদ তাহির, নূর করম খান, আব্দুল রউফ, ইয়াকুব সিদ্দিকী, লতাফত হুসেন এবং আখতার হুসেন এবং তারা সকলেই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।
পিটিশনটির খসড়া তৈরি করেন আইনজীবী মিসেস নাবিলা জামিল, সিনিয়র আইনজীবী এবং মিঃ এম আর শামশাদ। তারা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের হয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে সওয়াল করে মৌলিক অধিকার এবং ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের অন্যান্য অধিকার লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন ভিত্তিতে পুরো কোডটিকে চ্যালেঞ্জ জানান। কারণ ভারতের সংবিধানের পাশাপাশি শরিয়ত অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট, ১৯৩৭ মুসলমানদের অনুসরণ করা ব্যক্তিগত আইন / ইসলামিক আইন রক্ষা করে। সিনিয়র আইনজীবী এম আর শামশা এবং বোর্ডের নির্বাহী সদস্য আনিজবী ইমরান আলী ও আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বিজ্ঞ সলিসিটর জেনারেল উপস্থিত ছিলেন। আদালত পিটিশনের উপর নোটিশ জারি করার পরে, রাজ্যকে পাল্টা হলফনামা দাখিল করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। এখন মামলাটি ১ এপ্রিল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইউসিসির বিভিন্ন বিধানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগে দায়ের করা পিটিশনগুলির সাথে শুনানি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct