তিউনিসিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন নির্দল প্রার্থী অধ্যাপক কায়েস সাঈদ। প্রথম দফার ভোটে কোনো দল নিরঙ্কুশ আসন না পাওয়ায় গত রোববার ১৩ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে কায়েস সাঈদ ৭২ থেকে ৭৭ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। আর বিরোধী নাবিল কারোহির দল পেতে পারে ২৩ থেকে ২৭ শতাংশ। ফলে কম ইসলামপন্থী ও সেক্যুলার বলে পরিচিত অধ্যাপক কায়েস সাঈদ হতে চলেছেন তিউনিসিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০% ভোট না পাওয়ায় রোববার শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায় কায়েস সাঈদ ১৮.৪ শতাংশ ও প্রতিদ্বন্দ্বী কালব তিউনিস পার্টির প্রধান নাবিল কারুই ১৫.৬ শতাংশ ভোট পান। ইসলামপন্থী দল আন নাহিদ পিছিয়ে পড়ে। ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে সাঈদ ও কারুই যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকায় এ দফায় তারা দুইজন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে প্রায় ৭০ লাখ ভোটা ভোট দেয়। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক কায়েস সাঈদ সবাইকে চমকে দিয়ে তিউনিসিয়ার ২য় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শীর্ষে আছেন বলে বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত কেউ ভাবতে পারিনি যে তিনি এতটা এগোবেন।
এর আগে মিডিয়াতেও তার নাম ভালোভাবে শোনা যায়নি, কোনো সমীক্ষায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবার তিনিই বাজিমাত করেছেন বুথ ফেরত সমীক্ষায়। ফলে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়া সাঈদের পক্ষে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া নাবিল কারুইকে অর্থ কেলেঙ্কারি এবং কর জালিয়াতির অভিযোগে গত মাসে আটক করা হয়েছিল। তিউনিসিয়ার আপিল বিভাগ তার বাতিল করে। গত বুধবার মুক্তি পেলেও তিনি এখনো অভিযোগ মুক্ত নন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct