আপনজন ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রায় বেশিরভাগ শিশুদের পেটে কৃমি হয়।এটা হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তবে সময়মতো এর ব্যবস্থা না নিলে পেটে কৃমি থাকলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকের প্রশ্ন, এই কৃমির উৎপত্তির কারণ? আসলে সাধারণত দূষিত জল, দূষিত খাবার, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হাতের মাধ্যমে বেশির ভাগ কৃমির ডিম শিশুদের অন্ত্রে প্রবেশ করে। সেখানে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। বাচ্চাগুলো বড় হয়ে নিজেরা ডিম পাড়ে। এ ডিম মলের মাধ্যমে দেহের বাইরে বের হয়ে এসে জলকে দূষিত করে। নোংরা হাত ও মাছির সাহায্যে খাবারের মাধ্যমে অন্যেরা আক্রান্ত হয়। অনেক সময় খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের চামড়া ছিদ্র করে কৃমি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কৃমি মানুষের পুষ্টি উপাদান শোষণ করে। এ জন্য অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। কৃমি প্রতিরোধ করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই যথেষ্ট। শিশুদের জন্য এটি আরও জরুরি। এখন প্রশ্ন, এই কৃমি প্রতিরোধে কী ভাবে করবেন? এর জন্য আপনার শিশুর হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন। শিশু যেন হাতের আঙুল মুখে না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। খাবার ঢেকে রাখুন। খাবারে মাছি বসলে সে খাবার শিশুকে খেতে দেবেন না। খাওয়ার আগে-পরে ও প্রস্রাব-পায়খানার পর শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। রান্না ও শিশুকে খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। শিশুর প্লেট, বাটি, চামচসহ বাসনকোসন, রান্না করার পাত্র ট্যাপের জলে না ধুয়ে ফুটানো বিশুদ্ধ জলে ধুয়ে নিন। শিশুকে বিশুদ্ধ ও ফুটানো জল পান করান। শিশুকে মাছ-মাংস ও শাকসবজি ভালো করে সেদ্ধ করে খাওয়ান। শাকসবজি-ফলমূল পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ জলে দিয়ে ধুয়ে নিন। যেসব ফলমূলে খোসা নেই, সেগুলো খাওয়ার সময় খুব ভালো করে বিশুদ্ধ জলে দিয়ে ধুতে হবে। খোসাযুক্ত ফলমূল খাওয়ার আগে পরিষ্কার হাতে খোসা ছাড়িয়ে শিশুকে দিন। শিশুকে বাইরের খাবার একেবারেই খেতে দেবেন না। রাস্তার পাশে আখের রস, ফলমূলের রস, আগে থেকেই কেটে রাখা আনারস, তরমুজ, ঘোলসহ বিভিন্ন ধরনের পানীয় বিক্রি হয়। শুধু কৃমিই নয়, এতে আপনার শিশু নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুকে খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত রাখুন। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করুন। শিশুকে জুতো পায়ে পায়খানা ব্যবহার করতে শিক্ষা দিন। তিন মাস অন্তর শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ান।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct