আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল। সূত্র জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে চাকরি বাতিলের এই নির্দেশ কার্যকর হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম পাল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এর মধ্যে ওই ৯৪ জন শিক্ষককে চিহ্নিত করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সামনে কালীপূজা। একই সঙ্গে ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ায় এ নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করার সদ্ধিান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ব্যাপারে জানা যাচ্ছে, যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মানিক ভট্টাচার্য যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের িসভাপতি ছিলেন সেই সময়ের। তবে, মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে তাকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হয়। সেই তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে মানিক ভট্টাচার্য এখন কারাগারে। তাই সেই তদন্ত চলাকালীন পুনরায় অবৈধভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে টেট উত্তীর্ণ না হয়েও প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগকৃত এসব শিক্ষকের চাকরি চ্যুত করার জন্য বেশ কয়েকটি জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, ৯৪ জন টেট পাস করেননি। পরিবর্তে, প্রাথমিকভাবে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। প্রাথমিকে শিক্ষক নিযেঅগ মামলায় মামলায় করকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, টেট পাস না করে প্রার্থীরা কীভাবে চাকরি পেলেন। বিচারপতি বোর্ডের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতকে পাঠানো রিপোর্টে বোর্ড জানায়, টেট পাস না করেই চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে ৯৬জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে চাকরি প্রার্থীদের ডেকে তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। তাদের মধ্যে ৯৪জন চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় তাদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ৯৪ জনকে চিহ্নিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আদালত তার চাকরি বাতিলের সুপারিশ করে। যে সব নথি সামনে আনা হয়েছে, তাতে ৯৪ জনকে নিয়োগে গাফিলতির কথা উঠে এসেছে। গত শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড ৯৪ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়। সোমবার থেকে তা বলবৎ করা হচ্ছে ্বলে বোর্ডের তরফে জাাননো হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct