নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: আর কিছু দিন পর আমন ধান উঠবে। এই সময় ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো হয়৷যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই বিষয়ে কৃষকদের বারবার সচেতন করা হলেও ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো হয়। গত বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে ভাগেই সর্তক হয়েছে জেলা ও ব্লক কৃষি আধিকারিকরা।সারা রাজ্যের পাশাপাশি শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তার করন দপ্তরেও পালিত হল ফসল অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধী দিবস।এদিন হাতে প্লেকার্ড ও পোস্টার নিয়ে সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়।এবং এলাকার চাষিদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।কৃষি আধিকারিক পলাশ সিদ্ধা জানান,ধান ক্ষেতের খড় ও নাড়া পোড়ানোর ফলে ক্ষতিকারক গ্যাস,তাপ,ধোঁয়া ও ছাই কণা উৎপন্ন হয় যা বিশ্ব উষ্ণায়ন ডেকে আনে।মাটির উপরের অংশ পুড়ে শক্ত হয়ে যায়,জৈব পদার্থ ও উদ্ভিদ খাদ্য নষ্ট হয় এবং মাটিতে থাকা বহু উপকারী জীবাণু মারা যায়।কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শ মেনে খড় না পুড়িয়ে মালচার, রোটাভেটর ও হ্যাপি সিডারের মাধ্যমে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে মাটির উর্বরতা ও জলধারণ ক্ষমতা বাড়ালে কিংবা তুলে নিয়ে অন্য কাজে লাগালে চাষি অনেকটাই উপকৃত হবে। মাটির স্বাস্থ্য বজায় রেখে অধিক ফলন পেতে এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে নাড়া পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct