আপনজন ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রায় বেশিরভাগ মানুষ অ্যালার্জিতে ভোগেন। কেউ কেউ আবার মাংস খেলে অ্যালার্জির সমস্যায় পড়েন। যেকোনো বয়সেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রাণীর মাংসে অ্যালার্জি থাকলে পরবর্তী সময়ে অন্য প্রাণীর মাংসেও অ্যালার্জি হতে পারে। তার আগে জানতে হবে, এই অ্যালার্জি আসলে কী?অ্যালার্জি হচ্ছে ইমিউন সিস্টেমের একটা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যা পরিবেশের কোনো অ্যালার্জেনের কারণে শরীরে হাইপারসেনসিটিভিটি দেখায় কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়। কোনো নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর প্রতিবারই যদি ত্বকে রাশ বা ফুসকুড়ি হয়, পেটে ব্যথা ও বদহজম, বমি বমি ভাব বা বমি অথবা ডায়রিয়া হয়, নাক বন্ধ, মাত্রাতিরিক্ত হাঁচি, মাথাব্যথা, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, মাংসে অ্যালার্জি আছে, এমন ব্যক্তি প্রথমবার মাংস খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা একে ক্ষতিকর পদার্থ হিসেবে ধরে নেয় এবং এর বিরুদ্ধে ইমিউনোগ্লোবিন নামের নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি দেহের ইমিউন কোষের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ফলে এরপর যতবারই মাংস খাওয়া হয়, ততবারই এই ইমিউনোগ্লোবিন প্রচুর পরিমাণে হিস্টামিন ও অন্যান্য রাসায়নিক রক্তে ছড়িয়ে দেয়। এর প্রভাবে দেহে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যদি আপনার অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বাড়ে, আগে বুঝুন কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে? লক্ষণগুলো কত সময় স্থায়ী হচ্ছে? কত দিন ধরে লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি। যদি অ্যালার্জির মাত্রা কম হয়, তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাংস মাঝেমধ্যে খেতে পারেন। তবে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। অ্যালার্জি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। এতে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct