এম মেহেদী সানি, বারাসত, আপনজন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদ দখলের লড়াইয়ে পথে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ৷ দলীয় প্রার্থীরা কখনো মানুষের দুয়ারে দুয়ারে, কখনো হাঁটতে দেখা যাচ্ছে মিছিলে, জনসংযোগ বাড়াতে মরিয়া সকলেই ৷ ভোট কাছে আসতেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী জনসভা ৷ তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি সমস্ত দলেই পোড় খাওয়া তারকা প্রচারকের ভিড় থাকলেও সদ্য প্রতিষ্ঠিত আইএসএফের প্রধান মুখ ভাঙ্গড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনিও, প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভায় বক্তব্য রাখছেন তিনি ৷ মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙ্গা ও অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় দুটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন নওশাদ সিদ্দিকী ৷ এ দিন দুটি জনসভা থেকেই রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে নওশাদ কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন ৷ বিধানসভার সামনে শওকত মোল্লার সাথে দেখা এবং কথোপকথন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নওশাদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক হালুম হালুম করতে দেখা যায় সওকত মোল্লাকে, কিন্তু বিধানসভায় আমার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছিলেন না। তাই আমার হাসি পাচ্ছিল বাঘের মত গর্জন করে বেটা, কিন্তু দেখে মনে হলো বাঘ নয় বিড়াল হয়ে গেছে শওকত মোল্লা। আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সেন্ট্রাল ফোর্স অন্তত ২০০০ কোম্পানি করা হয় এবং ভোটের দফা বাড়ানো হয় এই দুইয়ের জন্যই আদালতের কাছে মঙ্গলবার আর্জি জানিয়েছেন আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। যা পরিস্থিতি রাজ্যে, তাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না বলে তিনি মনে করছেন। পাশাপাশি রাজ্যে ভোট নিয়ে যে সমস্ত মৃত্যু হয়েছে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান নওশাদ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেসব জায়গায় আইএসএফ প্রার্থী দিতে পারেনি সেইসব জায়গাতে অবিজেপি এবং অতৃণমূলদের ভোট দেওয়ার বার্তা দিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন তৃণমূলকে আমরা হারাব এবং বিজেপিকে তাড়াবো। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র কয়েক হাজার সিটে প্রার্থী দিতে পেরেছে আইএসএফ। এই পরিস্থিতিতে তিনি তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধীদের ভোট দেওয়ার বার্তা দেন আইএসএফ সমর্থকদের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct