আপনজন ডেস্ক: দেশের অন্যতম শীর্ষ ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দারুল উলুম দেওবন্দ সেখানকার পড়ুয়াদের ইসলামি ঐতিহ্য বজায় রাখার বিষয়ে কড়া নির্দেশ জারি করল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে দারুল উলুম দেওবন্দ জানিয়েছে, সেখানকার পড়ুয়াদের প্রত্যেককেই দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দারুল উরুম দেওবন্দ সূত্র জানিয়েছে, ইসলামি রীতি অনুসারে দাড়ি রাখা সুন্নত। তাই সুন্নতি তরিকা বজায় রাখা প্রতিটি পড়ুয়ার কর্তব্য। ইসলামি রীতি মানার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকম বিচ্যুতি না ঘটে তার জন্যই এই কড়া পদক্ষেপ বলে সুত্রের খবর।
জানা গেছে, দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা বিভাগের ইনচার্জ মাওলানা হুসেইন আহমেদ হরিদ্বারীর সাক্ষর সম্বলিত নোটিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাঁটানো হয়। সেই নোটিশে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দাড়ি কাটা ছাত্রদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দাড়ি কামালে সেই ছাত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি বহিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা যে কথার কথা নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে দাড়ি কামানোর অভিযোগে দিন পনেরো আগে চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হাদিস বিভাগের ছাত্র। এই কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করলেও তাদেরকে আর ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দারুল উলুম দেওবন্দে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন। দেশের এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আলেম দারুল উলুম থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে থাকেন। শুধু দারুল উলুম দেওবন্দ নয়, মাজাহির উলুম সাহারানপুর, লখনউয়ের নদওয়াতুল উলামা প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কর্তৃপক্ষে নির্দিষ্ট পোশাক রীতি মেনে চলতে হয়। তবে, এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের মধ্যে পাশ্চাত্য ছোঁয়ায় দাড়ি কেটে ফেলার নজির তেমন নেই। সেক্ষত্রে দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্রদের দাড়ি কামানোর ঘটনায় ব্যতিক্রমী বলা যায়। তবুও কোনও অবস্থাতেই দাড়ি কামানোর বিষয়টিকে রেয়াত দিতে রাজি নয় দারুল উলুম দেওবন্দ। সেটাই নোটিশ জারি করে বুঝিয়ে দিল তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct