জুলফিকার মোল্যা, মিনাখাঁ, আপনজন: বিজ্ঞানের আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন নতুন মেশিনের সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে ওঠে না পুরাতন দিনের ঐতিহ্যবাহী হস্তচালিত তাঁতশিল্প। কিন্তু তবুও ওরা কাজ করে। আধুনিক মেশিনের জেরে ওদের আগের মত আর বেচাকানো হয় না আগের মতো আর আয় উপার্জনও হয় না কিন্তু তবু ওরা কাজ করে পেটের টানে। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাটের দালাল পাড়ার তিন নম্বর কলোনির গলিতে উঁকি মারলে ঠিক এমনই ছবি দেখা যায়। যেখানে হস্তশালিত তাঁত শিল্পীদের শিল্পের সারা দিনের খট খট শব্দে সারাদিন কাজ করে চলেছেন। আগের মত আর কাজের বরাত নেই, নেই আগের মত কাজের চাহিদাও। বসিরহাটের তিন নম্বর কলোনির দালাল পাড়ার তাঁতিদের অভিযোগ, কলোনির ২০-৩০টি পরিবার তাঁত শিল্পের উপরে নির্ভর তাদের সংসার চলে। আগেকার দিনে তুলনায় বৈজ্ঞানিক যান্ত্রিক যুগে এসে হস্ত চালিত তাঁত শিল্পের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। এক সময় তাঁত শিল্প প্রায় বন্ধের মুখে পড়েছিল। যদিও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আবার চালু হলেও বর্তমানে আগের মত আর বেঁচাকেনা না হওয়ায় চিন্তিত পরিবার গুলি। তাঁত শিল্পী দীনবন্ধু দেবনাথ জানান, ‘আমাদের উৎপন্ন হস্তশিল্প চালিত তাঁতের কাপড়গুলি তন্তুশ্রী নামক সোসাইটির মাধ্যমে কলকাতাতে চলে যায়। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যেভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে ও পরিবহন মূল্য যেভাবে বেড়েই যাচ্ছে সেখানে আমাদের মুনাফা খুবই সামান্য’। তারা জানায তাঁত শিল্প আর আগের মত না চলায়, তাদের দিন চলে যায় কিন্তু পেট চলে না। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে সামাজিক শ্রীবৃদ্ধি হল পকেটের টান পড়েছে বসিরহাটের দালাল পাড়ার তিন নম্বর কলোনির তাঁত শিল্পীদের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct