নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: শনিবার কলকাতায় এক ধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ অনেক নাম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি এই মরশুমে সবচেয়ে এখনো পর্যন্ত শীতলতম দিন বলে জানালো আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদ গণেশ কুমার দাস এই খবর জানিয়ে বলেন, শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রার পারদ নির্মমুখী হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসাব অনুযায়ী কল্যাণীতে শনিবার নিম্নমুখী তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি, সিউড়িতে ৯. ০ ডিগ্রি, পানাগড়ে ৮.৬ ডিগ্রি এবং শ্রীনিকেতনে ৯.৩ ডিগ্রি। গনেশবাবু জানান,আমাদের রিজেনে নর্থ- ইস্ট টেলি উইন্ড রয়েছে । ফলে দিনের ও রাত্রের তাপমাত্রায় স্বাভাবিক থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি নিচে রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে রবিবার নিম্নমুখী তাপমাত্রা কলকাতায় আরো কমবে।কলকাতার ক্ষেত্রে আজকের লোয়েস্ট তাপমাত্রা ১৩.২ চলছে। এই সিজনের সব চেয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।আর আমাদের রাজ্যের তাপমাত্রা লোয়েস্ট হয়েছে। তা হল পানাগড়ে ৮.৬ আর তার সাথে কল্যাণীতে ৯.৮ আর সিউড়িতে হয়েছে ৯.০ আর শান্তিনিকেতনে ৯.৩° । পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিন খুব একটা চেঞ্জ হবে না বলে জানায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর।এই একটা ছোট্ট স্পেন্ড যেটা আমাদের রাজ্যে এসেছে। আজকের সর্বোচ্চ লোয়েস্ট আগামীকাল থেকে হয়তো তাপমাত্রা রাইস করার টেন্ডেন্সি থাকতে পারে। বা সেম থাকতে পারে, আবার কমেও যেতে পারে। কলকাতার ক্ষেত্রে ১৩ ২ আছে ।আগামীকাল রবিবার সেটা ১৩ ডিগ্রীতে পৌঁছাতে পারে । এর নিচে যাওয়ার কোন চান্সেস নেই।
উত্তরবঙ্গে পরশু থেকে দার্জিলিংয়ে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দার্জিলিং বাদ দিয়ে আর কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। নর্থবেঙ্গলে সকালে হালকা কুয়াশা থাকবে । জম্মু-কাশ্মীরে এখন ওয়েদার মাইনাসে চলছে তার ইম্প্যাক্টটাই আমাদের রাজ্যের তাই আমরা ফিল করছি আর এই ফ্লো টা এখন থাকবে ভালো শীত যদি বলা যায় আগামী দু থেকে তিন দিন কলকাতাতে থাকবে। কলকাতার ক্ষেত্রে শীতে যেই টাইমিংটা হয় ১৫ ডিসেম্বর দিন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই বছরে তা সময় মত এসে পরেছে। কলকাতার ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটি স্প্রেলে ঠান্ডা আমরা পাই। আর এটা হলো প্রথম স্প্যান। যেটা আমরা ২৪ ঘন্টা ধরে ফিল করছি। ১৩.২ রয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আমাদের রাজ্যে একটি নর্থ উইন্ড রয়েছে। তার জন্য কুয়াশাটা সম্ভাবনাটা খুব কম। যে কোস্টেল এরিয়া গুলোতে একটু কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে আর ভিজেবিলিটি রয়েছে ৮০০থেকে ১ কিলোমিটার আমরা এগুলোকে বলি শ্যালো কুয়াশা। ২০০ বা ২০০ নিচে যখন ভিজিবিলিটি আসে তখন হেভিয়েশনের ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধা হয় ট্রান্সপোর্ট এর ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা হয়। আর সেরকম পরিস্থিতি আপাতত আমাদের এই রাজ্যে বলে দাবি করেন আবহাওয়াবিদ গণেশ কুমার দাস।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct