আপনজন ডেস্ক: ওয়াশিংটন ডিসিতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির সংঘর্ষ হয়েছে একটি মার্কিন সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে। মাঝ আকাশে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারটি। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে ওয়াশিংটনের রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরে রানওয়ের কাছে আসার সময় মাঝ আকাশে সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে উড়োজাহাজটির সংঘর্ষ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সিকোরস্কি ইউএইচ-৬০ মডেলের ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটিতে তিনজন মার্কিন সেনা সদস্য ছিলেন।
এদিকে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিমানটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন।
আমেরিকান এয়ারলাইনসের মতে, উড়োজাহাজটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৫৩৪২, যা ক্যানসাসের উইচিটা থেকে আসছিল। এদিকে পেন্টাগন জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি ছিল একটি সিকরস্কি এইচ-৬০, যেটি ভার্জিনিয়ার ফোর্ট বেলভোয়ার থেকে উড্ডয়ন করেছিল। সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে, তিনজন মার্কিন সেনা হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন।
এ ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিবিসির সম্প্রচার সহযোগী, সিবিএসের মতে, পটোম্যাক নদী থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ইউএস পার্ক পুলিশ, ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীসহ কয়েকটি সংস্থা। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে এই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরি শুলম্যান নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী এনবিসি ওয়াশিংটনকে বলেছেন, তিনি বিমানবন্দরের জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় বিমান দুর্ঘটনাটি দেখেছিলেন। তিনি বলেন, উড়োজাহাজটিকে স্বাভাবিকভাবে উড়তে দেখননি। এটির ডান পাশ থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছিল। স্ফুলিঙ্গ প্লেনের নাক থেকে এর লেজে পর্যন্ত চলে যাচ্ছিল।’
হতাহত
হতাহতের বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তবে সিবিএস জানিয়েছে ১৮টি মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রীবাহী বিমানটিকে পোটোম্যাক নদীতে অর্ধেক ভাগ হয়ে যেতে দেখা যায় এবং হেলিকপ্টারটি পানিতে উল্টে পড়ে যায়।
সিবিএস নিউজের খবরে আরো বলা হয়েছে, পুলিশ ও ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের সন্ধান করছে। পুলিশ বোটগুলোকে সহায়তা করছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা কী বলছেন?
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাকে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত করা হয়েছে এবং আমি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ঈশ্বর তাদের আত্মাকে শান্তি দিন।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই দুর্ঘটনায় পতিত লোকদের জন্য দোয়া চেয়েছেন। প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ এবং পরিবহনসচিব শন ডাফি- তারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন।
আমেরিকান এয়ারলাইনসের সিইও রবার্ট ইসম এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct