সুভাষ চন্দ্র দাশ, সুন্দরবন, আপনজন: আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় ভূখন্ডের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ঠিক কতটা তা সঠিক ভাবে নির্ধারণের জন্য গণনার কাজ শুরু হবে।গণনার কাজ চলবে ৪৫ দিন ধরে।অর্থাৎ ক্যামের সুন্দরবন জঙ্গলে ৪৫ দিন বসানো থাকবে।গণনায় মোট ১৪৪৪ টি ক্যামেরা কাজ করবে। সুন্দরবনের মোট বনাঞ্চল ১০৮১৩ বর্গ কিমির মধ্যে ৪৭২৬ বর্গ কিমি ভারতীয় ভূখন্ডের,অর্থাৎ সুন্দরবনের ৩৮ শতাংশ ভারতের এবং ৬২ শতাংশ বাংলাদেশের অধীন।ফলে রহবাঘের যে এলাকা রয়েছে সেই ৪১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গতিবিধির ছবি তুলবে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রীয় এই ক্যামেরা।এছাড়াও বাঘ কোন এলাকায় বেশি ঘোরাঘুরি করছে এবং কি করছে জঙ্গলের মধ্যে সেই সমস্ত ঘটনার সবটাই রেকর্ড হবে ক্যামেরায়। অন্যদিকে বেশি সংখ্যক বাঘের ছবি যাতে ধরা পড়ে, তার জন্যই ৩০ দিনের পরিবর্তে ৪৫ দিন জঙ্গলে রাখা থাকবে ক্যামেরা। কোনও বাঘ ক্যামেরা বসানো জায়গায় ৩০ দিন না এলেও পরে ঘুরতে ঘুরতে সেখানে হাজির হতে পারে। তখন তার ছবি ধরা পড়বে।এছাড়া স্বয়ংক্রীয় এই ক্যামেরা চালু হওয়ার পর থেকে ব্যাটারির মেয়াদ থাকে ৪৫ দিন পর্যন্ত। এই পুরো সময়টা কাজে লাগাতে চাইছেন বনদপ্তরের আধিকারিকগণ।উল্লেখ্য গতবারের মতো এবারও মেছো বিড়াল, বুনো শুকর সহ অন্যান্য প্রাণীর ছবিও ধরা পড়বে।
পরে সেগুলিও পর্যালোচনা করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আঞ্চলিক বনবিভাগ এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন জঙ্গলে একই সঙ্গে এই শুমারির কাজ হবে বলে ঠিক হয়েছে। ক্যামেরা কীভাবে বসাতে হবে, সেজন্য বনকর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ২১ নভেম্বর জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করবেন বনকর্মীরা। ২৬ তারিখের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছবি তোলার কাজ চলবে। তবে এবার ছোট ছোট এলাকা ধরে ক্যামেরা বসানো হবে, নাকি বড় এলাকা জুড়ে, সেজন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং ডিএফও যৌথভাবে তা ঠিক করবেন।অন্যদিকে বাঘেদের চলন, কে কখন দৌড়ে শিকার করছে,কিভাবে শাবকদের নিয়ে মা বিশ্রাম নিচ্ছে, এসব যেমন আগেরবার ধরা পড়েছিল। এবারও আশা করা যাচ্ছে, আরও অনেক অজানা তথ্য হাতে এমনটাই মত আধিকারিকদের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct