তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: তিন মাস আগে নব নির্মিত হরিশ্চন্দ্রপুর গামী ৩১ নং জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশ ধসে পড়েছে পুকুরে।জাতীয় সড়কের উপরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও মানুষ।এতে করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।তা সত্ত্বেও মেরামত করার উদ্যোগ নেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের।ক্ষোভ এলাকায়।তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন।মালদহের চাঁচল থানার কনুয়া এলাকায় জাতীয় সড়কে এই ধস দেখা দিয়েছে।প্রায় ১০ ফুট ধসে পুকুরে পড়েছে।এমনকি রাস্তাতেও দেখা দিয়েছে বড় ফাটল।রাস্তার কংক্রিটের একটি বড় প্লেট পুকুরের দিকে বসে গিয়েছে।অপরদিকে প্লেটটি উঁচু হয়ে গিয়েছে।এতে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।বিশেষ করে রাতে বাইক চালকের প্লেটে ধাক্কা লেগে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে পুকুরে।গর্তে বসে যাচ্ছে চাকা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক ১০ হাজারের উপরে মানুষ যাতায়াত করেন।চাঁচল মহকুমা আদালত,থানা,এস ডি ও অফিস,ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল,বাজার ও কলেজে যেতে হয়
এই জাতীয় সড়কের উপরে দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা পবন চন্দ্র দাস,আব্দুল মান্নান,পান্ডব দাস ও সুলতান আলিরা বলেন,তিন মাসের উপরে সড়কটির একটি বড় অংশ পুকুরে ধসে পড়েছে।প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন চালক থেকে শুরু করে মানুষকে।সামান্য বৃষ্টি ও যানের চাপে সড়কটি আরও ভেঙে যাচ্ছে।এক কথায় মরনফাঁদ হয়ে আছে সড়কটি।এই নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েছি।মেরামতের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।গাড়ি চালক নুরুল ইসলাম বলেন,কনুয়া এলাকায় সড়কটি ধসে পড়ার কারণে প্রাণ হাতে নিয়ে চালকদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।দুটি গাড়ি একসঙ্গে পাশ কাটলে একটি গাড়ি সরাসরি পুকুরে গিয়ে পড়বে।তাই রাস্তাটি দ্রুত সংস্করণের দাবি করছি।জাতীয় সড়কের মালদহ ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার দিগন্ত কুন্ডু বলেন, সড়কের তলার মাটি সরে গিয়ে এই ধসটি হয়েছে।ইতিমধ্যে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে এসেছে।অতি শিঘ্রই মেরামত করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct