আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকে ‘স্বৈরতন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে লোকসভা ভোটে তাঁর বিচারধারাকে হারানোর হাঁক দিলেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা। লোকসভা ভোট শুরুর ঠিক ১৯ দিন আগে রবিবার রাজধানী নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তাঁরা বললেন, দেশ এক কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার করে দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার খেলায় মেতেছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। একজোট হয়ে এর মোকাবিলা করাই এখন সময়ের দাবি। না হলে দেশ রসাতলে যাবে। জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, এটা নিছক ভোট দেওয়ার নির্বাচন নয়, এটা গণতন্ত্র বাঁচানোর নির্বাচন। ক্রিকেটের পরিভাষা ব্যবহার করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ইডি, আয়কর, সিবিআইয়ের সাহায্যে ম্যাচ পাতাতে চাইছেন। ভোট শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে পুরছেন। কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। তিনি বিরোধীদের চান না। ভেবেচিন্তে ভোট না দিলে ম্যাচ গড়াপেটার নায়ক কিন্তু জিতে যাবে। ভোটে কারচুপির সন্দেহ প্রকাশ অবশ্য আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদবও করেছেন। তার কথায়, যেভাবে ওরা ৪০০ পারের কথা বলতে শুরু করেছে, তাতে ইভিএমে কারচুপি করবে বলে সন্দেহ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের এমন একজনও নেই, যার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ওরা করেনি। আমরা কিন্তু ভয় পাই না।’ মোদির গ্যারান্টিকে তিনি চিনা পণ্যের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, দুই দিনেই খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো। একটা গ্যারান্টিও তিনি আজ পর্যন্ত রাখতে পারেননি। এই জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জয়রাম রমেশ ও দিল্লির শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধিও জনসভায় উপস্থিত হন। তিনি মঞ্চে বসেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালের পাশে। সবার ভাষণ শেষ হলে প্রিয়াঙ্কা সবাইকে মনে করিয়ে দেন, রাবণের কাছে সব ছিল। রাজত্ব, অর্থ, লোকবল, শক্তি—সব। রামচন্দ্রের কাছে ছিল শুধু সত্য, সাহস ও ধৈর্য। লড়াইয়ে রামচন্দ্রেরই জয় হয়েছিল। রাবণের মতো মোদির অহংকারও চুরচুর হয়ে ভেঙে পড়বে। এটাই রামলীলা ময়দানের বার্তা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct