আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় হরোজা গ্রামে রাশিয়ার হামলায় ছয় বছরের এক শিশুসহ অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। সে সময় স্থানীয়রা সেখানে এক মৃত বাসিন্দার জন্য আয়োজিত শোকসভায় অংশ নিচ্ছিল।ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই এলাকায় কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু নেই। সেখানে শুধু বেসামরিক লোকজন থাকে। খারকিভের আঞ্চলিক প্রধান ওলেহ সিনেহুবভ এই হামলাকে অঞ্চলের ‘সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, যারা মারা গেছে তারা প্রত্যেকেই গ্রামের বাসিন্দা। ২০২০ সালে গ্রামটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫০১ জন, যার অর্থ এ হামলায় জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষ মারা গেছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘নৃশংস রুশ অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, প্রতিটি পরিবার থেকে, প্রতিটি বাড়ি থেকে লোকজন এ সভায় উপস্থিত ছিল। হামলায় একটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তবে স্বাধীনভাবে এই দাবিটি যাচাই করা যায়নি। ঘটনার পর উদ্ধারকারীদের ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে বেসামরিক পোশাক পরা বেশ কয়েকটি পোড়া মৃতদেহ পাশাপাশি পড়ে থাকতে এবং সারি সারি সাদা লাশের ব্যাগে দেখা যায়। ৭০ বছর বয়সী ভোলোদিমির মুখোভাতি জানান, তিনি হামলায় তার ছেলেকে হারিয়েছেন এবং এখনো তার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে খুঁজছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে মাথা ছাড়া, হাত ছাড়া, পা ছাড়া, কোনো কিছু ছাড়াই পাওয়া গেছে। তার কাছে থাকা নথি থেকে তাকে চেনা গেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে ৪৮ বছর ধরে আছি। আমি একা বেশিদিন বাঁচব না।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct