মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: সবজি থেকে মুরগি এসব খাদ্যদ্রব্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ব্যবহার করছে নানা কেমিক্যাল। ফলে পরিণামে মানুষের শরীরে ঢুকছে বিষ। এমনকি ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। সবজিতে বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল মিশিয়ে টাটকা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফসলের মধ্যে অতিরিক্ত ভিটামিন মেশানো মানুষের শরীরে রোগের অন্যতম কারণ। মুরগিতে যে পরিমাণে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে মানুষের রোগ প্রতিরোধক শক্তি একেবারেই কমে যাচ্ছে। মানুষের শরীরে অন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ আর কাজ করছে না। এর ফলে মানুষ রোগ প্রতিরোধক শক্তি হারিয়ে ফেলছে। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় সবজি বাজার ও মুরগির ফার্ম গুলোতে একই অবস্থা। রাস্তার ধারে সবজি বিক্রি করার কারণে গাড়ির বেনজিন সবজিতে লাগছে। এই বেনজিন মারণ রোগ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিভিন্ন ফুটপাতের ফাস্টফুড খাবার বিভিন্ন রং ও কেমিক্যাল মিশিয়ে খাদ্যকে সুস্বাদু করতে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই নিয়ে কারো কোন প্রতিকার নেই। সরকারের যে দপ্তর এইগুলো দেখভাল করার কথা ও তারাও ঠিক মতো দেখভাল করছেন না। উন্নত দেশগুলো ভেজাল প্রতিরোধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় পূর্ব বর্ধমান বা আমাদের রাজ্যে সেভাবে দেখা যায় না। এইজন্য এখানে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে। অল্প বয়সে বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে মানুষজন। খুব কম বয়সে মহিলাদের পিরিয়ড শুরু হয়ে যাচ্ছে বয়সন্ধিকাল কৈশোর যৌবন নির্দিষ্ট বয়সের আগে সমস্যা সৃষ্টি করছে। খুব শীঘ্রই সরকারিভাবে এই বিষয়ে নজরদারি না করলে মানুষ জীবনে বেঁচে থাকা হুমকির সম্মুখীন হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct