সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: এতদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বসতে। কিন্তু সেসব দিন এখন আপাতত অতীত। সেই জায়গায় এবার দেখা যাবে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকে। বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসনে বসতে চলেছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ট্রেজারি বেঞ্চের বাঁদিকে প্রথম আসনে মুখ্যমন্ত্রী এবং ডানদিকের প্রান্তিক সিটে বসবেন পরিষদীয় ও কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মাঝে অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও চতুর্থ মন্ত্রী মলয় ঘটক বা ব্রাত্য বসু বসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ফাঁকা ঘরটি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষির সঙ্গে পরিষদীয় দফতরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘরটি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ও বন্ধু সুব্রতর পুরনো ঘরে বসতে চাননি শোভনদেব। শুধু তাই নয়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর ঘরটি তৃতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও এতদিন ফাঁকা ছিল, সেই ঘরে এখন বসবেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দোতলায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এতদিন যে ঘরে বসতেন সেটি বরাদ্দ হয়েছে পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র জন্য। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হবে অধিবেশন। রাজ্যে পরিবর্তনের পর এই প্রথম পার্থহীন বিধানসভা অধিবেশন শুরু হবে। তিনটি নতুন বিল যেমন আনা হবে তেমনই শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক ইস্যুতে তপ্ত হবে চলতি অধিবেশন। পার্থর ঘর বন্ধ থাকলেও এবার অধিবেশনের আগেই অন্তত ১২ জন মন্ত্রীর বিধানসভায় ঠিকানা নতুন করে চিহ্নিত হবে। কয়েকজন পুরনো মন্ত্রীর ঠিকানা যেমন বদলে যাবে তেমনই নতুন মন্ত্রীদের ঘর বরাদ্দ করেছেন স্পিকার। বিধানসভা চলাকালীন ঘরের ঠিকানা মন্ত্রী ও বিধায়কদের পাশাপাশি সরকারি অফিসারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct