আপনজন ডেস্ক: কাকতাল বলুন বা ঘটনাচক্রে, সে দিনটাও ছিল ১ মার্চ। সেটিও আরেকটি ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বৈরথের শুরুটা ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। রোববার বিশ্রাম নেওয়ায় টেস্টটা শেষ হয়েছিল ১ মার্চ। সফর করতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২ রানে জিতে যাওয়ায় নিশ্চিত হয়েছিল, আর যা–ই হোক, টেস্ট সিরিজ হারছে না তারা। ঠিক ৯০ বছর পর একই লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল তারা। নিউজিল্যান্ডের কাছে যেন সিরিজ হারতে না হয়। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত শেষ দিনে আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হতাশ হতে হয়নি। শেষ দিনেও উইকেটে পেসারদের জন্য কিছু ছিল। আর সেটা কাজে লাগিয়ে ১৯৮ রানে জিতেছে সফরকারীরা। ফলে ১-১ সমতায় শেষ হলো টেস্ট সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারাতে না পারার আক্ষেপ আরও বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। ৯০ বছরে ১৭টি সিরিজ খেলেও প্রোটিয়াদের হারাতে পারেনি কিউইরা। প্রথম টেস্টে ৯৫ ও ১১১ রানে অলআউট হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা একই ভেন্যুতেই ফিরে এসেছে। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই সাড়ে তিন শ পার করেছে। ওদিকে উইকেট বুঝতে ভুল করা নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হতো। ৪২৬ রানের লক্ষ্যে গতকাল ৯৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিক দল। আজ তাই ম্যাচ জেতা নয়, ড্র করাটাই ছিল লক্ষ্য। আর সেটা করতে পারলেই সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পূরণ হতো নিউজিল্যান্ডের। ডেভন কনওয়ে ও টম ব্লান্ডেল সে লক্ষ্যেই খেলছিলেন। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ৮৫ রানের জুটিতে প্রথম সেশনটা প্রায় পার করে দিয়েছিলেন দুজন। কিন্তু লুথো সিপামলার একটি ইয়র্কার ঠিকভাবে খেলতে পারেননি কনওয়ে। ৯২ রানে থাকা কনওয়ে রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ব্যাটসম্যানকে হতাশ হতে হয়েছে। প্রথম সেশনে শুধু এই এক উইকেটই হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেটে ১৮০ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের গল্প এরপরই বদলে যায়। সিপামলার দেখানো পথে এগিয়েছেন অন্য বোলাররা। আরেকটু ফুল লেংথে বল করার ফল মিলেছে। ৩৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। টেস্টে ১৫ উইকেট নেওয়া জুটি কাগিসো রাবাদা (৮ উইকেট) ও মার্কো ইয়ানসেনই (৭ উইকেট) ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সেগুলো। ২২০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। ম্যাচ বাঁচানোর আশা তবু জেগেছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct