স্বপ্নের চোরাবালি
আহমদ রাজু
‘নো থ্যাংকস্। এইকানেই ভাল। আর থুমি যে বলিলে ঘাসের কথা, অল কান্ট্রিতে ঘাস রহিয়াছে। হামি ইটাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ খরি।’‘কেমন আছো তুমি?’‘প্রশ্নটা ভোকার মতো খরিলে।’‘মানে?’থতমত খেয়ে যাই আমি।‘বালোতো আছিই। অন্য কিছু বলো। হামি তুমার মুখ থেকে অন্য খথা শুনিবার জন্যে হাসিয়াছি।’‘কি কথা?’সহজে বললেও সমস্ত শরীর আমার শিহরিত হয়ে ওঠে। কি বলবো আমি মার্টিনা স্মিথ কে? থরথর করে কাঁপতে থাকি।‘আমার অবস্থা দেখে বলল,’থুমি কি বালবাস?’আমি আবারো বোকার মত প্রশ্ন করি,’কাকে?’‘কেন, হামাকে?’‘তা কি সম্ভব?’‘খেনো?’উৎকণ্ঠায় ভরা প্রশ্ন মার্টিনা স্মিথের মুখ। আমি বুঝতে পারি তার চেহারায় এক নিমেষে আঁধার নেমে আসে।‘তুমি খ্রিষ্টান আর আমি মুসলমান। তোমার আমার ব্যবধান অনেক।’‘দুই ধর্ম থাতে কি? থোমার ধর্ম থোমার আর হামার ধর্ম হামার।’‘তা হয় না। আর তোমার বাবা-মা তা মেনে নেবেই বা কেন?’‘ওঠা নিয়ে তুমার চিন্তা করিতে হইবে না। হামার ওপর ছাড়িয়া দাও। শুধু বলো হামাকে বালবাস কি না?’আমি যেন এমন একটা মুহূর্তের জন্যে অপেক্ষায় ছিলাম জনম জনম। বললাম,’সব কথা কি মুখে বলতে হয়?’‘হামি থোমার মুখ থেকে শুনিথে চাই।’‘তোমাকে ভাল না বাসার কোন কারণ আছে বলেতো আমার মনে হয় না।’‘থুমি বাঙালি। থুমার মুখের খথার দাম অনেক বেশি। হামি থুমার মুখ থেকে শুনিথে চাই হামাকে বালবাস কি না।’‘তোমাকেই ভালবাসি মার্টিনা স্মিথ।’‘থ্যাংকউ। যেদিন হামি ভাংলাদেশকে চিনিতে শিখিয়াছিলাম সেদিন থেকে ভাবিয়া আসিয়াছি হ্যাকজন বাঙালিই হইবে হামার জীবন সাথী।’‘আমাকেই কেন তুমি পছন্দ করলে?’‘বাললাগা-বালবাসা কখন খীভাবে হইয়া যায় কেইবা ভলিতে ফারে?’মার্টিনা স্মিথ ক্ষণেক থেমে বলল,’তুমি কি ভাবিয়াছিলে হামার সাথে তুমার ফরিচয় হইবে?’‘কখনও না- কোনদিনও না। তবে কপালে ছিল এটাতো ঠিক।’কপালে ছিল কথাটার অর্থ মার্টিনা স্মিথ বুঝতে না পেরে বলল,’কিসের খপালে ছিল?’আমাদের ইসলাম ধর্মে কপালকে মানা হয়। আমাদের বিশ্বাস জীবনে যা কিছু ঘটে তার সবই এই কপালে লেখা থাকে আগে থেকে।’‘হামাদের খ্রিষ্টান ধর্মে হবশ্য কর্মকে ফ্রাধান্য দেওয়া হয়। হিসাব খরিলে পরোক্ষভাবে সেই খপালই চলিয়া আসে।’‘কি খাবে?’‘এমন ঘাসের ওপড় চীনা ভাদামের বিকল্প নাই।’পাশ দিয়ে বাদাম বিক্রেতাকে যেতে দেখে তার কাছ থেকে পাঁচ টাকার বাদাম নিয়ে দু’জনের মাঝে রাখি। এতক্ষণ যে বিষয়টা আমার একদম খেয়াল হয়নি সেটা হঠাৎ করে মনে হলো- আমরা দু’জনে কেমন সাবলীল ভাষায় তুমি-আমি করে যাচ্ছি! অথচ কারো মাঝে কোন আড়ষ্টতা নেই! কেমন করে হলো এমন। কে আগে আপনি থেকে তুমিতে নামলো তা মনে করার চেষ্টা করি। আমার নীরবতা দেখে মার্টিনা স্মিথ বলল,’চীনা বাদাম কি শুধু হামার জন্যে? তুমি খাইবে না?’চিন্তার রাজ্য থেকে নিজেকে মুক্ত করে দিয়ে বললাম,’ভাবছিলাম তুমি আমি কেমন অনায়াসে আপনি থেকে তুমিতে নেমে এসেছি।’হেসে ওঠে মার্টিনা স্মিথ। বলল,’হাসলে হামাদের ইংরেজদের হাপনি বলিয়া কিছু নাই। বাঙালিদের মধ্যে সেইটা সবচেয়ে বেশি দেখিতে পাই। তুমার যদি খোন হাপত্তি থাকে.....।’আমি ডান হাত দিয়ে মার্টিনা স্মিথের মুখ চেপে ধরি। বললাম,’আপত্তি কেন থাকবে? তুমি যেটা চাও সেটাই হবে।’‘খাল বিকেল পাঁচটায় হামার ফ্লাইট, মনে হাছে তো?’বিমর্ষ মন মার্টিনা স্মিথের।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি আমি। বললাম,’নিয়মকে খন্ডাবো কিভাবে?’‘থুমি যইশোরে যেয়ে পাসপোর্টটা করিয়া ফেলো।’‘আমারতো পাসপোর্ট আছে।’‘থাই নাকি?’‘হ্যাঁ। আমি সৌদি আরবে যাবার জন্যে গত বছর পাসপোর্ট করেছিলাম।’‘তা হইলে তো সমস্যা থাকিলো না। থুমি বাড়িতে ফিরিয়ে হামাকে ফোন করিও। তখন ঠিকানা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভিসার সমস্ত কাগজপত্র তুমার ঠিকানায় পাঠাইয়া দিবো।’‘সত্যি আমাকে তুমি নিয়ে যাবে!’‘এখনও বিশ্বাস হইতেছে না?’‘আসলে আমি এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি; স্বপ্ন না বাস্তব।’‘থুমি খোন স্বপ্নে নাই। এই যে দেখো হামি তুমার সামনে বসিয়া আছি।’আমি আবেগকে সামলাতে পারি না। বললাম,’আমি কি সত্যি তোমার কাছে যেতে পারবো?’মৃদু হাসে মার্টিনা স্মিথ। বলল,’হামাকে হাগে এ্যামেরিকায় যাইতে দাও। তারপর বুঝিবে তুমি স্বপ্নে হাছো না জাগিয়া।’দু’জনে কথা বলতে বলতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে টেরই পাইনি। বললাম,’তাহলে কাল তোমার সাথে দেখা হবে কি?’‘তুমি সকাল এগারোটার দিকে এখানে চলিয়া আসিবে। যেহেতু হামাদের ফ্লাইট বিকালে।’‘আমি তোমার জন্যে অপেক্ষা করবো।’‘থাহলে এখন যাওয়া যাক..’বলে মার্টিনা উঠে দাঁড়ায়। সাথে আমিও উঠি। দু’জনে হাঁটতে হাঁটতে গার্ডেনের বাইরে এসে একটা সিএনজি ডেকে মার্টিনা স্মিথকে উঠিয়ে দিয়ে আমি পাবলিক বাসে হোটেলের পথ ধরি। ‘নে টাকাগুলো ভাল জায়গায় রাখ। আর আমি বাইরে যাচ্ছি; উপমার জন্যে ছাতা কিনতে হবে। তোর কিছু লাগলে বল। আর টিকিটটাও নিয়ে আসি।’বাবা মানিব্যাগ থেকে পাঁচশত টাকার কয়টা নোট বের করে আমার হাতে দিয়ে কথাগুলো বললেন।বাবার কথায় আমি থতমত খেয়ে যাই। এখন কী বলবো তাকে? মার্টিনা স্মিথের কথাও বলতে পারছি না। তাছাড়া বাবাতো বলেই দিয়েছেন সে টিকিট কেটে নিয়ে আসবে! তারই বা দোষ কী? আমিইতো গতকাল রাতে বলেছিলাম আজ রাতে ফিরে যাবো। এদিকে মার্টিনা স্মিথকে কথা দিয়েছি তার সাথে আগামীকাল সকালে দেখা করবো। নানান চিন্তায় আমার মাথা ভার হয়ে আসে। আমার নীরবতা দেখে বাবা বললেন,’কিরে, ধর টাকাগুলো।’আমি হাত কচলাতে কচলাতে বললাম,’আব্বা আমার পেটের অবস্থা ভাল না। কেমন যেন গুড়গুড় করছে। এ অবস্থায় যাওয়া ঠিক হবে না। তার চেয়ে বরং কাল রাতে যাই?’‘তা আগে বলবি না? আচ্ছা আমি আসার সময় ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিয়ে আসবো। তুই তাহলে শুয়ে থাক।’বলে বাবা বাইরে চলে যায়। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচি। সময়মতো যদি এই বুদ্ধিটা না আসতো তাহলে হয়তো আজ রাতেই আমাকে যশোরে ফিরে যেতে হতো। আর মার্টিনা স্মিথের সাথে দেখা না করে যশোর ফিরে যাবার কথা আমার মাথায় আসে না কোনভাবে। অন্তত আমি সেটা কোন মূল্যেই করতে পারবো না। ইতিমধ্যে যার কাছে আমার মন প্রাণ বাঁধা পড়েছে তার কাছে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হওয়ার কথা ভাবাও যায় না।মিনিট দশেক পরে কলিং বেলের শব্দে দরজা খুলে দেখি বাবা ফিরে এসেছে। বললেন,’আমার কত সময় লাগে তার ঠিক নেই। ভাবলাম তোর ঔষুধটা দিয়ে যাই। এটা ধর। এখন একটা খেয়ে নে। দেখিস একটু পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’বাবা আমার হাতে একপাতা ফ্লামিড ট্যাবলেট ধরিয়ে দিয়ে দরজার থেকেই আবার বাইরে চলে যায়। আমি কি করবো বুঝতে পারি না। বাবার কথামতো একটা ট্যাবলেট খাবো? ট্যাবলেট খাওয়ার মতো তেমন কোন সমস্যাতো হয়নি। নিরুপায় হয়ে পাতা থেকে একটা ট্যাবলেট বের করে জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলি। অন্তত বাবা আসলে জানতেতো পারবে ট্যাবলেট আমি খেয়েছি।বাবার সাথে মিথ্যে বলা মনে হয় এই প্রথম। আগে তার সাথে এমন মিথ্যা কথা বলেছি কিনা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তেমন কোন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়নি কোনদিন। বাবা আমাকে কোনদিন বলেনি, কিংবা কোন প্রশ্ন করেছে বলে মনে পড়ে না যাতে সত্য-মিথ্যার বিষয় আছে। বাবার পকেট থেকে অনেকবার টাকা চুরি করেছি। বাবা কোনদিন আমার কাছে জানতেও চায়নি। তাছাড়া গাইড কি জিনিস আমি তা শিখিনি। আমাকে কেউ কোনদিন গাইড দেয়নি-দেয় না। এর মানে আমি যা করেছি- করছি তা বাবা-মা মেনে নেবে সহজে এমনটা ভাবা অমূলক। আমার অন্যায় আবদার বা সিদ্ধান্ত কোনভাবে মেনে নেবে না তা আমার জানা। তাইতো আমি গন্ডির বাইরে যেতে চাইনি কোন সময়। কিন্তু মার্টিনা স্মিথের সাথে সম্পর্ক বাবা-মা মেনে নেবে কিনা বুঝতে পারি না। শুধু মার্টিনা স্মিথ কেন, কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক বাবা-মা মেনে নেবে এমনটি আমি ভাবিনি। তবুও ভালবাসার কাঙাল আমি। ভালবাসার জন্যে উতলা হয়ে বাবার সামনে দাঁড়িয়েও মিথ্যা বলতে হয়েছে! তা না হলে কেন মহিলা যাবে বলে বাসে টিকিট কাটা? কেন বা তমা- সুমা- মিতুয়া- মনিরাদের সাথে কথা বলতে ভাল লাগা! আমি জানি এসব ভালবাসার বহ্নিপ্রকাশ। বয়স বলেতো একটা কথা আছে; তাকে আমি আটকাবো কোন বাঁধনে।
রাত আটটার দিকে বাবা হোটেলে ফিরে আসে। দুই হাতে ভরা ব্যাগ টেবিলের পাশে রাখতে রাখতে বললেন,’কী কমেছে?’‘হ্যা আব্বা; এখন একটু ভাল লাগছে।’‘উপমার ছাতাটা হয়েছে বেশ। তুই কি বলিস? পছন্দ হয়েছে তো?’টেবিলের পাশ থেকে ছাতাটা হাতে নিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখতে দেখতে কথাটি বললেন বাবা।আমি বাবার হাত থেকে ছাতাটা নিতে নিতে বললাম’খুব পছন্দ হয়েছে আব্বা। এখন যার ছাতা তার পছন্দ হলে হয়।’‘পছন্দ না হবার কোন কারণতো দেখছি না।’‘উপমা আবার খুতখুতে স্বভাবের; ওর কোনটা পছন্দ, কোনটা অপছন্দ তা বুঝা মুশকিল।’‘তা ঠিক। ও হয়েছে আমার দাদীর মতো।’‘আপনি কি আপনার দাদীকে দেখেছেন?’‘তা দেখিনি। আব্বার মুখে শুনেছি। আচ্ছা প্যাকেটের ভেতরে দেখ তোর জন্যে কলম কিনেছে। চার রঙা কলম।’আমি দেরি না করে প্যাকেটের ভেতরে হাতড়াতে থাকি। অনেক কিছু কিনেছে বাবা। ফলমুল থেকে শুরু করে আমাদের বাড়ির সবার জন্যে কাপড়, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি। প্যাকেটের নিচের দিক থেকে কলমটা বের করে সামনে ধরতেই চোখ আমার জ্বলজ্বল করে ওঠে। ষ্টীল বডির দৃষ্টিনন্দন কলমটাতে চারপাশে চারটা শিষ ভরা। আপন মনে বলে উঠি,’বা সুন্দরতো!’আমার চোখে আনন্দের ঝিলিক দেখে বাবা বললেন,’দ্যাখ আর একটা আছে।’বাবার কথায় আমি দেরি না করে আবারো প্যাকেটের ভেতরে হাতড়ে দ্বিতীয় কলমটা বের করে আনি। কলম দু’টো একই রকম।’কী পছন্দ হয়েছে?’হাসিমুখে বাবা কথাটি বললেন।‘পছন্দ মানে, খুব হয়েছে। কোথায় পেলেন এমন কলম আব্বা?’‘মাঝে একটা দোকানে দেখেছিলাম। তখনি মনে হয়েছিল, তুই আসলে কিনে দেবো। আচ্ছা তোর জামা প্যান্ট দেখ ঠিক আছে কি না।’আমি প্যাকেট থেকে বের করে নতুন জামা-প্যান্ট পরে ঘুরে ফিরে দেখতে থাকি ঠিক আছে কি না। বাবা বললেন,’এদিকে ঘোর তো। হ্যাঁ ঠিক আছে।’আমিও এদিক ওদিক টান দিয়ে দেখতে থাকি। খুলে রাখতে গেলে বাবা বললেন,’পরা থাক। চল নিচে হোটেল থেকে খেয়ে আসি তারপর খুলিস।’আমি বাবার কথায় সম্মতি দিয়ে মাথা নাড়িয়ে বললাম,’ঠিক আছে চলেন তাহলে।’নিচে খাবার হোটেল থেকে খেয়ে এসে শুয়ে পড়ি। বাবা ব্যালকনিতে পাইচারী করতে করতে সিগারেট ফুকছে। একটু পরে বাবাও এসে শুয়ে পড়ে আমার পাশে। আমার ঘুম আসে না। চোখ বুজলেই মুহূর্তে সামনে ছায়াছবির মতো ভেসে ওঠে মার্টিনা স্মিথের মুখ। কিছুতেই মন থেকে তাড়াতে পারছি না তার মুখ- পার্কে বসে থাকার দৃশ্যগুলো। আগামীকাল যখন সে নিজের দেশে চলে যাবে তখনকার অবস্থা অনুভব করতে যেয়ে শিউরে উঠি আমি। এখন দেশে আছে- এক শহরে আছে তাই মনের এই অবস্থা; আর যখন সে হাজার হাজার মাইল দূরে চলে যাবে তখন মনের অবস্থা যে কী হবে ভাবতেই পারি না।উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রাত কাটে। ঘুমের ঘোরে কিছু বলেছি কিনা- মার্টিনা স্মিথের নাম উচ্চারণ করলাম কিনা- বাবা কিছু বুঝেছে কিনা সে ভয় হচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বাবার স্বাভাবিক আচরণে সে ভাবনা আমার উবে যায়। যাই হোক না কেন বাবা কিছু বুঝতে পারেনি। তিনি নিজের কাজে বের হবার পর আমিও বেরিয়ে যাই বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে।গতকাল যে গাছের নিচে বসেছিলাম সেই গাছের কাছে যেতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ। একি! মার্টিনা স্মিথ সেখানে আগেই এসে বসে আছে চাতক পাখি হয়ে! ‘হাও আর ইউ?’পেছন থেকে যেয়ে প্রশ্ন করি।‘ফাইন।’মার্টিনা স্মিথ তার স্বভাব সূলভ ভাঙা বাংলায় বলল,’এখন হাসার সময় হইলো?’আমি হাত ঘড়িটার দিকে চোখ রাখি; দশটা বিশ। বললাম,’তুমি ঘড়ি দেখেছো কয়টা বাজে?’‘ঘতরাতে দুই চোখের পাতা এক খরিতে ফারিনাই। শুধু তুমার কথা ভাবিতে হইয়াছে।’‘কী বলছো!’‘হামি ঠিকই ভলিতেছি। সত্যিই ফারিনাই। খেনো হেমন হইলো?’‘জানিনা। আমারও একই অবস্থা হয়েছিল।’‘শীউর?’‘সত্যিই।’‘হেমন খেন হইলো?’মার্টিনা স্মিথ আমার ডান হাত তার নিজের মুঠোর ভেতর পুরে নিয়ে কথাটি বলল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct