আপনজন ডেস্ক: দীপাবলির উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যদের নিয়ে আলোর উৎসব উদযাপন করতে রাজস্থানের জয়সলমীরে যান্ শনিবার। জয়সলমীরের লঙ্গেওয়ালায় দেশের হয়ে জওয়ানদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত দেখিয়েছে যে তার শক্তি আছে। বিশ্বের কোন শক্তিই আমাদের সৈন্যদের আমাদের সীমান্ত রক্ষা করতে বাধা দিতে পারে না। ভারত দেখিয়েছে যে তাদের চ্যালেঞ্জকারীদের যথাযথ জবাব দেওয়ার জন্য তার শক্তি এবং রাজনৈতিক ইচ্ছা রয়েছে। বিশ্ব এখন জানে যে ভারত তার স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনওভাবে আপস করবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী কোনও দেশের নাম না উল্লেখ করেই এই মন্তব্য করেন। এতদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রধান প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এমএম নারভানে ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ আস্তানা।
এর আগে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ট্যুইটারে বলেছিলেন, ‘সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা! এই উৎসবটি আরও উজ্জ্বলতা এবং সুখী হোক। সবাই সমৃদ্ধ ও সুস্থ হোক।’
পাক সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে লঙ্গেওয়ালার পোস্ট। পাক-ভারত সীমান্তে তুমুল উত্তেজনা চলছে। শুক্রবার দুই দেশের সেনাদের গুলিযুদ্ধে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ সৈন্য এবং ভারতের পাঁচ সৈন্যসহ সাতজন রয়েছেন। ভারত উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। তাই মোদির এই মন্তব্য নাম না করে প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি হুঁশিয়ারিই বলা যেতে পারে।
গত সপ্তাহে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থাকে (এসসিও) সম্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এতে অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের (চিন ও পাকিস্তানও রয়েছে) প্রতি একে অপরের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
এর আগে জুলাইয়ে, গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার কয়েক দিন পরে - লাদাখের সেনা ছাউনি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি চিনের নাম না করেই বলেছিলেন, সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ হয়ে গেছে। আর ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে সম্প্রসারণবাদী শক্তি হয় হেরে গেছে বা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি এও জোর দিয়েছিলেন যে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় রাস্তা ও সেতু নির্মাণ বন্ধ করবে না, যা চিনের আগ্রাসনের কারণ বলে মনে করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct