আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এখন শুধু টেস্টে দেখা যায়। একটা সময় স্পিনে প্রতিপক্ষকে ঘূর্ণি খাইয়েছেন তিনি সব বিভাগের ক্রিকেটে। এখন তাঁর বোলিং ঘূর্ণি চলে শুধু লাল বলে।৩৩ বছর বয়সী এই স্পিনারকে ঘিরে এখন প্রতিপক্ষের পরিকল্পনায় হয়তো তাঁর বোলিংয়ের ধরন, আঙুলের কোন প্যাঁচে কোন রহস্য লুকিয়ে সে সবের নানান বিশ্লেষণ চলে। তবে একটা সময় তাঁর বোলিং রহস্য কোনো বিশ্লেষণে চলত না। বরং অশ্বিনকে ঠেকাতে একবার নাকি প্রতিপক্ষ তাঁর হাতের আঙুলই কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। আগামী শুক্রবার থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে। এ সিরিজে দলে রয়েছেন অশ্বিন। তবে ২০১০ সালে ভারতীয় দলে অভিষেকের পর ৭০টি টেস্ট, ১১১ ওয়ানডে ও ৪৬টি টি-২০ খেলা অশ্বিন ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ভয়টা সম্ভবত পেয়েছিলেন ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ারও অনেক আগে। অশ্বিন বলেন, 'আমার বন্ধুরা আমাকে টেনিস বলের টুর্নামেন্টে খেলতে নিয়ে যেত। আমার বাবা মোটেও সেটা পছন্দ করতেন না। রাস্তার ধারে যে আমি ক্রিকেট খেলতাম, সেটাও তাঁর ভালো লাগত না। এমনই এক দিন আমার একটা ফাইনাল খেলার কথা। আমি ফাইনাল খেলতে মাঠের উদ্দেশে রওনা দেব, এমন সময়ে মোটরসাইকেল করে চার-পাঁচজন মানুষ এল। অনেক পেশিবহুল, লম্বা ছিল। ওরা আমাকে নিতে এসেছিল। বলল, ‘চলো যেতে হবে।’ আমি বললাম, ‘কে আপনারা?’ ওরা বলল, ‘তুমি তো ম্যাচটাতে খেলছ, তাই না? আমরা তোমাকে নিতে এসেছি।’ আমি তো ভাবছিলাম, ‘বাহ! ওরা আমাকে নেওয়ার জন্য গাড়িও পাঠিয়েছে!’ ভালোই লাগছিল। ওরা আমাকে একটা চায়ের দোকানে নিয়ে গেল। ওরা আমাকে বসিয়ে ভাজি–পোড়া অর্ডার দিল। বলল, ‘খাও। ভয় পেয়ো না।’ এরপরই আমার ভুলটা ভাঙল। ততক্ষণে ৩.৩০টা-৪টার মতো বেজে গিয়েছে। আমি ওদের বললাম, চলো যাই। তখন ওরা বলল, ‘না, না, আমরা আসলে তোমার প্রতিপক্ষ দলের লোক। তুমি যাতে না খেলো, সেটা নিশ্চিত করতেই এসেছি আমরা। তুমি যদি এখান থেকে মাঠে গিয়ে খেলতে নামো, আমরা তোমার হাতের আঙুল কেটে দেব।'
বুমরাহ সমালোচনায় তেলেবেগুনে মোহাম্মদ শামি
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে একটিও উইকেট পাননি তিনি। ২০১৬ সালে অভিষেকের পর এই সিরিজেই প্রথম উইকেটশূন্য থাকলেন বুমরাহ। ভালো কাটেনি টি-২০ সিরিজও। তবু ৫ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তবে ওয়ানডে সিরিজে বাজে পারফরম্যান্স প্রভাব ফেলেছে তাঁর রাঙ্কিংয়েও। ওয়ানডের শীর্ষ বোলারদের রাঙ্কিংয়ে নেমে গিয়েছেন দুইয়ে। তাই সমালোচনা চলছে ‘ডেথ ওভার’ বিশেষজ্ঞ বুমরাহর। আর এতে মোহাম্মদ শামি তেলেবেগুনে হয়ে উঠেছেন।তাঁর প্রশ্ন, মাত্র দু-চার ম্যাচ দেখে লোকজন বুমরাহর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে? শামি বলেন, ‘মাত্র ২ ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেনি বলে তার ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। বুমরা ভারতকে সাফল্য এনে দিয়েছে তা ভুলে যাওয়া কিংবা এড়ানো সম্ভব কীভাবে? ইতিবাচকভাবে ভাবলে বরং খেলোয়াড়েরই ভালো।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct