সুভাষ চন্দ্র দাশ, বাসন্তী, আপনজন: প্রত্যন্ত সুন্দরবন। বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি পঞ্চায়েত এলাকা।আদিবাসী অধুষ্যিত এই এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার গুলো পেটের তাগিদে এখানে ওখানে অর্থাৎ দেশের ভিনরাজ্যে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করার জন্য।অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি চুনাখালি এলাকায় বর্ষার জলে প্রায় সর্বত্র জলমগ্ন। পুকুর,খালবিল জলে ভরপুর।এলাকায় বেড়েছে মশা,মাছি সহ বিষধর কেউটে ও কালাচ সাপের উপদ্রব।এমনকি ডেঙ্গি ও থাবা বসাতে উদগ্রীব।এমত অবস্থায় দরিদ্র পরিবার ও স্কুল ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে এলো গ্রামেরই মহিলাদের হাতে গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বড়িয়া মহিলা মঙ্গল সমিতি’।রবিবার দুপুরে এক ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এলাকায় ছাত্রছাত্রী সহ ২৫০ টি অসহায় পরিবারের হাতে মশারি প্রদান করা হয়।
বড়িয়া মহিলা মঙ্গল সমিতি’র সদস্য বাপ্পাদিত্য হাউলি জানিয়েছেন, ‘অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেদের কে নিয়োজিত করেছি।ফলে তাঁদের অসুবিধার কথা ভেবে এবং ডেঙ্গি ও সাপের উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকার অসহায় পরিবার ও বেশকিছু স্কুল ছাত্রছাত্রী সহ মোট ২৫০ জনকে মশারি প্রদান করা হয়েছে। আগামীতেও বেশকিছু পরিবারের হাতে মশারি তুলে দেওয়া হবে।’
এমন কর্মযঞ্জ প্রসঙ্গে সমাজসেবী দেবাশীষ বৈরাগী জানিয়েছে, ‘স্বামীজির বাণী “জীবে প্রেম করে যেইজন,সেইজন সেবিছে ঈশ্বর”।ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের ‘বড়িয়া মহিলা মঙ্গল সমিতি’ মানব সেবায় নিজেদের কে নিয়োজিত করে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সত্যিই প্রশংসনীয়।’
স্থানীয় সমাজসেবী তথা শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষক নিমাই মালি জানিয়েছে, ‘বড়িয়া মহিলা মঙ্গল সমিতি’ সারা বছরই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে।প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
অন্যদিকে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা প্রাক্তন বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের পুত্র বাপ্পাদিত্য নস্কর জানিয়েছে, ‘মানুষের পাশে থেকে যাঁরা সর্বদাই সমাজ উন্নয়ণের কাজ করেন তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।আগামী দিনে বড়িয়া মহিলা মঙ্গল সমিতির সদস্যরা আরো সমাজ উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে আশাবাদী।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct