নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢোলা, আপনজন: এবার পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন বেধড়ক মারধরের জেরে মৃত্যুর অভিযোগে রণক্ষেত্র থানা চত্বর। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ল মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। আর স্থানীয়দের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানা এলাকা। ব্যারিকেড করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা পুলিশের। নামানো হয় ব়্যাফ। ঘটনার সূত্রপাত ৩০ জুন। ওইদিন মহসিন হালদারের বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি হয়। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর পর ১লা জুলাই ঢোলাহাট থানার পুলিশ এসে স্থানীয় কয়েকজনকে জেরা করে। তার ভিত্তিতে ভাট বকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা আবু সিদ্দিক হালদারকে থানায় তুলে নিয়ে যায় ঢোলা থানার পুলিশ। আবু সিদ্দিকীর পরিবারের অভিযোগ, আবু সিদ্দিককে থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় মারধর করেন রাজদীপ নামে এক সাব-ইন্সপেক্টর। এরপর ৪ জুলাই কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় আবু সিদ্দিককে। ওইদিন জামিন পান তিনি। তবে তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় প্রথমে মথুরাপুর গ্রামীন হাসপাতাল, তারপর ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার পার্কসার্কাসের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাত দশটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারের কারণেই মৃত্যু হয়েছে সিদ্দিকীর। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢোলাহাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে ব়্যাফ। তবে পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানান, আদালতে পেশ করার সময় শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না সিদ্দিকীর।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct