আপনজন ডেস্ক: ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের কারণে গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবাও পাচ্ছেন না। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল জানিয়েছে, গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রাথমিক যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন, সেগুলোর জন্য রীতিমতো লড়াই করছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার নারী আগামী মাসেই সন্তান প্রসব করবেন। তাদের জন্য এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইউএনএফপিএর ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি ডোমিনিক অ্যালেন বলেন, একবার কল্পনা করুন যে, এই প্রক্রিয়াটির মধ্য দিয়ে যাওয়া বিশেষ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার আগের সময়গুলো, সম্ভাব্য জটিলতা, প্রয়োজনীয় পোশাক না থাকা, স্বাস্থ্যবিধির অভাব তাদের এবং তাদের অনাগত সন্তানের জন্য কেমন হবে? এমনকি এসব নারী সন্তান জন্মদানের পর তাদের এবং নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলোও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। কারণ গাজার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ জ্বালানি আছে তাতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো সেবা দেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করে ইসরায়েল। সেসময় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ঘোষণা দেন, গাজাকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পাশপাশি অঞ্চলটিতে খাদ্য বা জ্বালানি কোনো কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের পর থেকে সেখানে জেনারেটরই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কার্যালয় তাদের এক ওয়েবসাইটে সতর্ক করেছে। সম্প্রতি জ্বালানি ও পানিসহ মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানানোর পরই জাতিসংঘও এ বিষয়ে সতর্ক করল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct