আপনজন ডেস্ক: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি সংখ্যালঘু শিয়া মসজিদে শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এতে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে বলে স্থানীয়দের একজন খবর দিয়েছেন।বাঘলান প্রদেশের রাজধানী পোল-ই-খোমরিতে বিস্ফোরণের ধরন তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার না হলেও তালেবান সরকার তা নিশ্চিত করেছে। সরকারের উপমুখপাত্র বিলাল করিমি বলেছেন, ‘আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই, কিন্তু বর্তমানে আমার কাছে সব তথ্য নেই।’স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের ইমাম জামান মসজিদে জুমার নামাজের জন্য শিয়ারা জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণের শব্দ হয়।আবদুল হামিদ নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ভয়ানক শব্দ হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর বিপুলসংখ্যক হতাহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়।’
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ দাউদ বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এখন অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন শোনা যাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এলাকা থেকে লোকজনকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।২০২১ সালের আগস্টে তালেবান মার্কিন-সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশটিতে নিরাপত্তা নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়েছে। কিন্তু ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর আঞ্চলিক শাখা হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। তারা অতীতে শিয়াদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। গোষ্ঠীটি শিয়াদের ধর্মদ্রোহী বলে মনে করে। তালেবান ও আইএস কঠোর সুন্নি মতাদর্শ ধারণ করলেও কাবুলের নতুন শাসকরা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তালেবান সরকারে ফিরে আসার পর থেকে আইএস কাবুলে কূটনৈতিক মিশন ও মন্ত্রণালয় ভবনে হামলা চালিয়েছে। হামলায় প্রাদেশিক দুই গভর্নর নিহত হয়েছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর এক সংখ্যালঘু শিয়াপাড়ায় একটি স্টাডি হলে বোমা হামলার জন্যও আইএসকে দায়ী করা হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ওই হামলায় ৪৬ জন নারীসহ কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন।মে মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস ‘সাম্প্রদায়িক সংঘাত উসকে দিতে এবং অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে’ চায়। ২০২২ সাল থেকে ১৯০টিরও বেশি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন হতাহত হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct