রহমতুল্লাহ, বহরমপুর, আপনজন: বাঙালির অধিকার আদায়ের পক্ষে সরব সংগঠন বাংলা পক্ষের উদ্যেগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার বহরমপুরের সাংবাদিক সংঘ হল-এ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগরের জীবনালোচনা সহ শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখা মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষককে সম্মাননা জানানো হয়। বিদ্যাসাগরে জীবন নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট প্রবান্ধিক তথা ইতিহাসবেত্তা খাজিম আহমেদ। তিনি বিদ্যাসাগরের জীবানলোচনা বর্ণনা করতে গিয়ে সমাজের বাধা বিঘ্ন উপেক্ষা করে তিনি যে শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তা তুলে ধরেন। একদিনে শিক্ষার চেতনা অন্রদিকে সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদানের ফসল আজকের সমাজ যে ভোগ করছে তা আগামী প্রজন্মের জন্যও পাথেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জেলা মুর্শিদাবাদে বিদ্যাসাগর অনুঘটকের মতো কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন। খাজিম আহমেদ আরও বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষা ছাড়া গতি নেই। তাই শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে আমাদের সমাজকে বিকশিত করতে হবে, সমাজকে উন্নত করে তুলতে হবে। তিনি শিক্ষা মূলক এ ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য বাংলা পক্ষকে অভিনন্দন জানান।এদিনের অনুষ্ঠানে মুর্শিদাবাদ জেরায় শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদানের জন্য সাগরদিঘীর কাবিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানকে বাংলা পক্ষের তরফ থেকে জাতীয় শিক্ষক সম্মান প্রদান করা হয়। এদিন জাতীয় শিক্ষক সম্মান পেয়ে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন আমি জাতীয় শিক্ষক সম্মান পেয়ে গর্বিত এবং আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিদ্যাসাগরকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনে করি ও তার নামাঙ্কিত একটি সম্মাননা পেয়ে আমি নিজেকে প্রচন্ড সম্মানিত বোধ করছি।উল্লেখ্য, বাংলা পক্ষের তরফে প্রতিটি জেলায় এধরনের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct