মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: ছিলেন জি এস টি অফিসার এবার হবেন বি ডি ও।পূর্ব বর্ধমানের সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে ডাব্লু বি সি এস এক্সিকিউটিভে রাজ্যে ২১ র্যাংক করা আকিল খান প্রমাণ করলো কোন কিছুই অসম্ভব নয়। বর্ধমান শহরের পীর বাহরামের নুরুল ইসলাম খান ও রোকেয়া বেগমের দুই সন্তানের জ্যেষ্ঠ পুত্র আকিল খান। এবছর ডাব্লু বিসিএস এক্সিকিউটিভে ২১ র্যাঙ্ক করে হবু বিডিও হতে চলেছে।এই সাফল্যে প্রথমে সে মহান প্রভু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কলকাতার একাডেমিক অসোসিয়েশনের শামিম খান ও জিডি একাডেমির শহিদুল ইসলামদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আকিল। এই জায়গায় পৌছাতে তারা যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ভদ্র নম্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী ঈমানদার আকিল সমস্ত মানুষ ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য কাজ করতে চান। বর্তমানে জিএসটি অফিসার আকিল বর্ধমান অফিসে যুক্ত। রাজ্য সরকারের যুব সংসদ কুইজ প্রতিযোগিতায় তিনবার স্টেট চ্যাম্পিয়ন, একবার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকিল। কুইজের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা আকিলকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে বলে সে জানায়। প্রথম থেকে ডব্লিউ বিসিএস এক্সিকিউটিভ হওয়ার ইচ্ছা ছিল। এর আগেও সে ডাব্লু বিসিএস পাস করে জি এস টি অফিসার হয়েছেন। সাড়ে তিন বছর চাকরি করা হয়ে গেছে আকিলের । পড়াশুনা খেলাধুলা সমস্ত বিষয়ে দক্ষ আকিল এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। বাবা বর্ধমানের বড় বাজারে স্টেশনারি দোকান চালান। খান ব্রাদাস নামের দোকান চালিয়ে সংসার ও দুই ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। ছেলের গর্বে গর্বিত বাবা নুরুল ইসলাম খান ও মা রোকেয়া বেগম। আকিল ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন অদম্য ইচ্ছা আন্তরিক চেষ্টা থাকলে কোন প্রতিবন্ধকতাই বাধা হতে পারে না সাফল্য ধরা দেবেই। পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পড়াশোনায় উন্নতি করছে আকিলদের দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে। রাজ্যের ডব্লু বিসিএসে কুড়ি শতাংশ র্যাঙ্ক করেছে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা । সংখ্যালঘুদের মধ্যে শিক্ষার নবজাগরণ আসছে। বেসরকারি মিশন ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct