আপনজন ডেস্ক: ইরানের সাথে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সম্মতি প্রকাশের প্রেক্ষাপটে ইসরাইল-সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে সমীকরণের সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে তিন দেশ নতুন করে ভাবনা শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে সিনেটর ক্রিস্টোফার এস মারফির (ডেমোক্র্যাট সদস্য এবং ফরেন রিলেশন্স কমিটির সদস্য) উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবের সাথে আমাদের সম্পর্ক সরাসরি দ্বিপক্ষীয়।এটি ইসরাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত নয়।’এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং পরমাণু সহায়তার বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি আছে সৌদি আরব। এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব জানিয়েছে যে তারা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়, বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করে এবং অস্ত্র বিক্রির ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়।গত বছর সিনিয়র সৌদি কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনের কাছে এসব শর্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। গত অক্টোবরে ইসরাইলপন্থী থিঙ্ক ট্যাংক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট পলিসির কয়েকজন সদস্য রিয়াদ সফর করেন। তখনই সৌদি কর্মকর্তারা তাদের কাছে এসব শর্ত প্রকাশ করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct