এম মেহেদী সানি ও এহসানুল হক, বাদুড়িয়া, আপনজন: এলাকার সমস্ত সমস্যার কথা ‘দিদির দূত’-কে জানালে সমাধান হবেই, এমনই ধারণা নিয়ে বিধায়কের অপেক্ষায় পথের পাশে দাড়িয়ে রইলেন মহিলারা। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিদির দূত হিসাবে বাদুড়িয়া ব্লকের নয়াবস্তিয়া মিলনী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরিক্রমায় আসেন মিনাখার বিধায়ক উষা রানী মন্ডল। বৃহষ্পতিবার ওই কর্মসূচিতে মধ্যাহ্ন ভোজন শেষ করে পঞ্চায়েত সংলাপে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন বিধায়ক, সেসময় এমনই চিত্র ধরা পড়ে। পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে, বিধায়ক গাড়ি থেকে নামতেই স্থানীয়রা বিভিন্ন সমস্যা এবং ক্ষোভের কথা জানান। এলাকাবাসীর সমস্ত সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন বিধায়ক উষা রানী মন্ডল।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ বাস্তবায়নে ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচিতে এসে পুজোপাঠ সেরে বিধায়ক যান হাজী গোলাম মোর্তজা হেফজুল কোরআন মাদ্রাসায়। বিধায়কের কাছে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে একটি জমি চাওয়া হয়। বিধায়ক উষা রানী বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান। এ দিন তিনি নয়াবস্তিয়া মিলনী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মেদিয়া হাই স্কুল পরিদর্শনে যান। ওই সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়রা দাবি করেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রায় তিন কিলোমিটার বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য। পঞ্চায়েত সংলাপের মাধ্যমে এদিন নয়াবস্তিয়া মিলনী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান খায়রুল ইসলাম এলাকার কিছু রাস্তা সংস্কার এবং কিছু নতুন রাস্তার জন্য বিধায়ককে জানান, এবং ইছামতি তীরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সরকারি সহযোগিতার আবেদন জানান। ‘দিদির দূত’ বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মিনাখাঁ বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, বাদুড়িয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রতাব উদ্দিন আহমেদ, বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুহেলিকা পারভীন, নয়াবস্তিয়া মিলনী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান খায়রুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct