তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি কোল্ড চেইন(মিনি হিমঘর)দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।হিমঘরের ঘরের চারিপাশ জঙ্গলাকৃত হয়ে পড়ে আছে।এমনকি হিমঘর চালানোর জন্য যে সমস্ত মেশিন বসানো হয়েছে সেগুলো অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হতে বসেছে।বড় বড় আগাছায় ঢেকে গিয়েছে মেসিন।তবুও হিমঘর চালু করার উদ্যোগ নেই সরকারের।এই নিয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুরু হয়ে ক্ষোভ।মালদা জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ মার্কেটিং বোর্ডের পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বীরেন্দ্র কুমার মৈত্র উপ-বাজার চত্বর তুলসীহাটা তে ২০১০ সালে এই হিম ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল।যাতে স্থানীয় কৃষকরা সব্জি ও ফল চাষ করে তা প্রয়োজনে সংরক্ষণ করতে পারেন।সেইসময় এলাকার চাষিররা আশায় বুক বেঁধেছিলেন।তারপর দীর্ঘ ১৫ বছর কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেই হিমঘর আর চালু হয় নি।জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সেক্রেটারী অসিত বর বলেন,’হিমঘর টির মেকানিক্যাল পার্টটি এখনো পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে সেট আপ করা সম্ভব হয়নি তাই বন্ধ রয়েছে।বিষয়টি আমাদের নজরে আছ। খুব শীঘ্রই এই বিষয়টি নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে কীভাবে চালু করা যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।বছর দুয়েক আগে থার্ড পার্টি কে লিজে দিয়ে মালদহের ইংলিশ বাজারে একটি মিনি হিমঘর চালু করা হয়েছে। সেইভাবেই বিষয়টি ভাবা হবে।‘হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার এক চাষি তাজুল ইসলাম বলেন,’আমরা সারাবছর মাঠে কাঁচা শাকসবজি চাষ করে থাকি।আমাদের এলাকায় কোনো হিমঘর না থাকার কারণে মাঠের মধ্যেই সস্তা দামে ব্যবসায়ীদের কাছে শাক সব্জি বিক্রি করে দিতে হয়। রাজ্য সরকার এই হিমঘরটি চালু করার উদ্যোগ নিলে অনেক চাষি উপকৃত হবে।’এলাকার সবজি আড়তদার অসিত দাস,চিন্টু সাহা,সিতা রাম ও তুফান আলিরা বলেন,’আমরা চাষিদের কাছ থেকে হাজার হাজার কুইন্টাল কাঁচা শাকসবজি কিনে থাকি।সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে হাজার হাজার টাকার সব্জি পচে নষ্ট হয়ে যায়। তবে হিমঘরটি চালু হলে কাঁচা শাক সব্জি সংরক্ষণ করে রাখতে পারব।তাই আমাদের দাবি হিম ঘরটি শিঘ্রই চালু করা হোক।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct