নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: বাংলার মদনদে বসার পরে তিনি রাইটার্স বিল্ডিং থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন সরিয়েছিলেন নবান্নে। ১৪ তলা ওই নীল-সাদা বিল্ডিংয়ে রয়েছে রাজ্যের বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ দফতর। নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ‘নবান্ন’ থেকে পথচলা শুরু। আর সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন ‘সম্পন্ন’। আলিপুরে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং জোনের নাম ‘সম্পন্ন’। এদিন ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইসের উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুঝিয়ে দেন উন্নয়নের জন্য তাঁর ভরসা ‘ন’ তেই।নবান্নের কাছেই রয়েছে ‘সৌজন্য’। ওই ভবনে বিভিন্ন বৈঠক এবং সভা হয়। অত্যাধুনিক এই ভবনের নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরেই রয়েছে রাজ্য সরকারের নয়া ভবন ‘উত্তীর্ণ’। অতিমারি পরিস্থিতিতে ৫০০ বেডের অস্থায়ী সেফ হোম-ও হয়েছিল এই ভবন। ‘উত্তীর্ণ’ নামটিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া। এরপরে ‘উত্তীর্ণ’-র কাছেই গড়ে উঠেছে নয়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম ‘ধনধান্য’। শঙ্খের আদলে এই স্টেডিয়ামে আছে বিশেষ অডিটোরিয়াম, কনভেনশন সেন্টারও। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে লোক সংস্কৃতি এবং শিল্পে। এই নামটিও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তারপরে আজ থেকে পথচলা শুরু করল ‘সম্পন্ন’। ‘সম্পন্ন’ নামটিও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নবান্ন, সৌজন্য, উত্তীর্ণ, ধনধান্য। তারপরে এবারে সম্পন্ন। একাধিক নয়া ভবন এবং স্টেডিয়ামের নামকরণে অদ্ভুত মিল। সব নাম সাজালেই যেন ‘অন্ত্যমিল’। আর জোর রয়েছে নামের শেষে ‘ন’ অক্ষরেই। কোথাও ‘ন’, আবার কোথাও ‘ণ’। কোথাও বা একাধিক ‘ন’। নামকরণে ‘ন’তে বিশেষ দুর্বলতা বা ভালোলাগার অক্ষর ‘ন’ বা ‘ণ’ তে। তাই ‘দন্তন্য’ হোক বা ‘মূর্ধণ্য’, মুখ্যমন্ত্রী আস্থা রাখছেন ‘ন’ বা ‘ণ’ তেই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct