আপনজন ডেস্ক: পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট আবারও বলল, ১৫ বছর বয়সি একজন মুসলিম মেয়ের বিয়ে বৈধ এবং বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন (পিসিএমএ), ২০০৬ এর আওতায় এই ধরনের বিয়ে প্রযোজ্য হবে না। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি বিকাশ বাহল তার রায়ে বলেন, ১৫র বছর বয়সি মুসলিম মেয়েদের বিয়ে ইসলামী আইনের অধীনে অনুমোদিত। তাই বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন ২০০৬-এর ১২ধারা অধীনে অবৈধ বলা যাবে না। যদিও বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন ২০০৬-এর ১২ধারায় নাবালিকাদের বিয়ে অবৈধ। তবে এই রায় প্রথম নয়, এর আগেও পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই ধরনের রায় দিয়েছে। একই ধরনের অণ্য একটি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে, ১৫ বছর বয়সি মেয়েটি একটি চাইল্ড কেয়ার হোম থেকে মুক্তির জন্য অনুরোধ করেছিল যাতে সে তার ২৬ বছর বয়সি স্বামীর সাথে থাকতে পারে। উভয় পক্ষের স্বাধীন ইচ্ছায় বিয়েটি সম্পন্ন করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেয়েটি নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও বিয়ে বৈধ হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, হাইকোর্ট গত ৩০ সেপ্টেম্বর একজন মুসলিম মেয়ের বিয়ে মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইন দ্বারা পরিচালিত বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে। এছাড়া ২০১৪ সালের ইউনূস খান মামলায় হাইকোর্ট বলেছিল মুসলিম মেয়ে বয়ঃসন্ধিকালে (১৫ বছর) বিয়ে করতে পারে ইসলামী আইন অনুযায়ী। সেই রায়ই অনসুরণ করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct