আপনজন ডেস্ক: চোখ ওঠার সমস্যায় আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কাউকে না কাউকে পড়তে হয়। এটার প্রকোপ আসলে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে সঠিক অর্থে স্বাস্থ্যবিধি না মানা। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। স্থানীয়ভাবে এ সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের প্রশ্ন, এটা থেকে বাঁচতে কি করতে হবে? চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে জল পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়। এটা হলে সবার আগে চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন। রোগীর ব্যবহার করা সামগ্রী অন্যদের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এক চোখে সমস্যা দেখা দিলে অন্য চোখকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়-চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই হ্যান্ডশেক করার পর দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলুন। নোংরা হাতে কখনই চোখে হাত দেবেন না। যখন বুঝবেন, আপনার চোখ উঠেছে, তখন সকালে ঘুম থেকে ওঠে চোখে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। চোখে সাবধানে টিস্যু বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহার করা সেই টিস্যু বা কাপড় সাবধানে নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে। যাতে করে এ রোগ অন্য কারো না হয়। বাড়ির বাইরে গেলে সানগ্লাস পরতে হবে, তা নাহলে রোদে চোখ জ্বলবে। চোখে চুলকানি ও বেশি ফুলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ভাইরাস জ্বর যেমন ৫/৭ দিনে ভালো হয়ে যায়, এটাও তেমন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct