জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: পৌরপ্রধানের মেয়াদ ৬মাস হতেই অচলাবস্থা শুরু হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভায়। শনিবার পৌরপ্রধান অমিত রায়ের উপর একাধিক অভিযোগ এনে বোর্ড মিটিং বয়কট করলো ২০জনের বেশী তৃণমূল কাউন্সিলর। এদিন বয়কটের পর পৌরপ্রধানের সাথে মিটিং-এ ছিলেন ৬নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস, ১৫নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত এবং ১নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতা পৌরসভার একমাত্র বিরোধী কাউন্সিলর সিপিএমের বিপ্লব দাস। বর্তমান পৌরবোর্ডে ৩০জনের মধ্যে ২৯জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং একজন সিপিএমের কাউন্সিলর। মাস ছয়েক আগে বোর্ড গঠনের সময়ই পৌরপ্রধান হিসাবে অমিত রায়কে মেনে নেননি ২০জনের বেশি তৃণমূল কাউন্সিলর। কিন্তু দল অমিত রায়কেই পৌরপ্রধানের পদে বসানোয় প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বিক্ষুব্ধরা। পৌর আইন অনুযায়ী পৌরপ্রধানের বিরোধিতা করে অনাস্থা আনতে গেলে বোর্ড গঠনের পর ন্যূনতম ৬মাস সময় লাগে। বর্তমান পৌরবোর্ড ৬মাস অতিক্রান্ত করেছে। তারপরই বোর্ড মিটিং বয়কটের ঘটনা ঘটল। সূত্রে খবর শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বোর্ড মিটিং শুরুর সময় প্রথমেই বলতে ওঠেন বিগত বোর্ডের পৌরপ্রধান তথা ২৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌরিকান্ত মুখার্জী। যদিও নিয়ম অনুযায়ী বোর্ড মিটিং-এ সবার প্রথম বলার সুযোগ পায় বিরোধী দলনেতা। এদিনও একমাত্র বিরোধী বিপ্লব দাস প্রথমে বলতে ওঠেন। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দিয়েই পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে পৌরসভার এক আধিকারিকের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে সরব হন গৌরিকান্ত মুখার্জী। তাকে সমর্থন করে উপ-পৌরপ্রধান পার্থ সাহা, জয়দেব অধিকারী, সিআইসি দিব্যেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য কাউন্সিলররাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপরই সভাঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে পরেন ২০জনের বেশী কাউন্সিলর। এদিন পৌরপ্রধান বলেন বিগত বোর্ডের পৌরপ্রধান চেয়ারের মায়া ছাড়তে পারেনি। তাই আমার বিরুদ্ধে অন্যায় অভিযোগ করে দল ভাড়াচ্ছেন। যদিও এবিষয়ে পৌরপ্রধান গৌরিকান্ত মুখার্জী কিছু বলতে না চাইলেও বর্তমান বোর্ডের উপ-পৌরপ্রধান পার্থ সাহাও সরাসরি পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct