মঞ্জুর মোল্লা,নদিয়া,আপনজন: নদীয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাপড়া থানার মোট ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আটকে আছেন পাঁচ জন ডাক্তারি পড়ুয়া শ্রাবনী মল্লিক, আফ্রিদি মন্ডল, মনিজা সেখ, রাহেজা সুলতানা ও জেসমিন মন্ডল। এরা সকলে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনে আণ্ডারগ্রাউণ্ডে আছেন। পরিবারের দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি শ্রাবণী মল্লিক দীর্ঘ কয়েক বছর বাবার মৃত্যু হয়েছে বহু কষ্ট করে পরিশ্রম করে মা ডাক্তারি পড়তে বিদেশে পাঠিয়েছে। বাড়িতে শুধু নাবালক ভাই আর মা। টিভির সামনে বসে শুধু দুই চোখে জল ঝরছে। তাকিয়ে আছে কখন ফিরে আসবে নিজের সন্তানরা। শ্রাবণী মল্লিক চাপড়া থানার প্রত্যন্ত গ্রামে কিছুদিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন। আবার পাড়ি দিয়েছিলেন ইউক্রেনে। সেখানে পৌঁছাতেই শুরু হয় যুদ্ধ। শ্রাবণী মল্লিক জানান, যুদ্ধ চলায় খাবার জল কোন কিছুই পাচ্ছি না। খুবই কষ্টের ভিতর আছি সরকারের কাছে আবেদন যাতে আমাদের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের দুটো দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন সীমান্ত লাগোয়া আড়ৎসষিয়ি গ্রামের বাসিন্দা মনিজা খাতুন সেখ। পরিবারের লোকজন জানান, মেয়ে যখন ভিডিও কলে খোঁজ খবর নিউ তখন দুই চোখে শুধু জল। কারণ তিনি জানান, মা আমার খুব কষ্ট, ভিতরে আছি, খাবার কিছু পাচ্ছি না। আমার দেশের সরকার ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। এখানে শুধু গুলি আর বোমের আওয়াজ। মায়ে র কাছে কান্নাকাটি করে বরছেন, মা আমরা বাড়ি ফিরতে পারব না। আমাদের জীবন বাঁচাও আর বাঁচবে না। আফ্রিদির পরিবার জানায়, সরকারের কাছে আবেদন করছি যাতে সন্তানদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্তা করে। না হলে আমাদের সন্তানদের কফিন বন্দি দেহ ফিরে আসবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct