আপনজন ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিন তবরিগি মারকাজে তবলিগি জামাতের জমায়েত নিয়ে দিল্লির পুরিশের ভূমিকার ফের চরম সামলোচনা করল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার তবলিগি জামাতের মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লি পুলিশকে কাছে জানতে চেয়েছিল যে গত বছর তাবলিগ জামাত মণ্ডলীতে যোগ দেওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা নিয়ে আসা বিদেশি নাগরিকদের স্থানীয়দের বাসস্থান প্রদানের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কিনা। এই বিষয়ে আদালতের প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের চরমা সমালোচনা করে আদালত।
দিল্রির বাসিন্দা বিদেশি তবলিগিদের বাড়িতে অথবা মারকাজে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর হয়েছিল তা তুলে নেওয়অর জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। তাদের আইনজীবী আর্জি জানিয়ে বলেন, বিদেশি তবলিগিরা যখন মারকাজে প্রবেশ করেন তখন নিষেধাজ্হা জারি নিযে তাদের কোনও ধারণা ছিল না। তারা লকডাউনের তারিখ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হওয়ার যোগ্য নন বলে ভর্ৎসনা করে বলেন, যদি কোন (লকডাউন) বিজ্ঞপ্তি না থাকে তাহলে সবার স্বাধীনভাবে বেছেচে থাকার অধিকার আছে। যখন হঠাৎ লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল, তখন লোকেরা যেখানেই ছিল সেখানে এক জায়গায় স্থির ছিল। দিল্লি পুলিশের উদ্দেশ্যে বিচারপতি গুপ্তা বলেন, আপনাদেরকে কুঁজে বের করেত হবে লকডাউন জারি হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তাার অন্য জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে কিনা। এই বিষয়ে কোনও তদন্ত করা হয়নি বলেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গুপ্তা। আবেদনকারীর প্রশ্নে উত্তরে আদা দেওযার পলে বিচারপতি তা নিয়ে সমালোচনা করেন দিল্লি পুলিশকে। তারপর পুলিশকে বলেন, উপযুক্ত তথ্য না দিলে কীভাবে মামলার নির্দেশ সম্ভব।
এরপর বিচারপতি দিল্লি পুলিশের সেন্ট্রাল ডিসিপিকে নির্দেশ দেন, এই মামলার বিস্তারিত এফিডেভিট করে আদালতে জমা দিতে আগামী ৪ জানুয়ারি ফের শুনানির সময়। আদালত তবলিগি মার্কাজ নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এবং মন্তব্য করেছিল যে তাদেরকে বের করে দেওয়ার কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কিনা।
এর আগে বিচারপতি গুপ্তা প্রশ্ন তুলেছিলেন, হঠাৎ লকডাউন আরোপ করা হলে একজন কোথায় যায়? রাস্তায়? তিনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। সেটা কি অপরাধ। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দাদের দিল্লিতে এসে থাকতে বা কোনও মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারে থাকার জন্য কি কোনও বাধা আছে সে প্রশ্নও তোলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct