সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: পেটের টানে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ২৬ জন শ্রমিক। তামিলনাডুতে কাজে যাওয়া ২৫ জন শ্রমিকের বাড়ী জয়নগর এলাকায়। শ্রমিকদের সুপারভাইজার আবুল কালামের বাড়ী মন্দির বাজার এলাকায়। প্রতারিত শ্রমিকরা সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ন্যাশনাল এ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটির কাছে।
জানা গেছে গত ১৮ জুন ২০২১ তারিখে জয়নগরের ২৫ জন শ্রমিককে বাসে করে কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ধমান জেলার রমজান ঠিকাদার তাঁদের দক্ষিনের রাজ্য তামিলনাডুতে নিয়ে যান।
১০ ঘন্টার কাজের বিনিময়ে ৪০০ টাকা প্রতি শ্রমিককে দেওয়া হবে বলে চুক্তি হয়। শ্রমিকরা সেখানে ৪০ দিন কাজ করেন। সেই হিসাবে মোট ৪ লক্ষ টাকা পাওনা হয় শ্রমিকদের। এছাড়াও সুপার ভাইজারের প্রতিদিন ১০০ টাকা হিসাবে ৪০ দিনে ৪০ হাজার টাকা পাওনা হয়। সর্বমোট ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পাওনা হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ পাওনা টাকা দেয়নি রোমজান ঠিকাদার ও তাঁর সহযোগী ছাদ্দাম হোসেন। উল্টে শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চালানো হয়। ডে-নাইট কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর টাকা না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। বাড়ীর লোকের পাঠানো টাকাতে ২৬ শ্রমিক বাড়ীতে ফিরে এসেছেন ৮ আগস্ট।
সুপারভাইজার আবুল কালাম ন্যাশনাল এ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটির কাছে সুবিচার চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের ডিজি, এসপি ডায়মন্ডহারবার, সাংসদ মথুরাপুর ও মন্দিরবাজার থানাকে।
এবিষয়ে ন্যাশনাল এ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ জিন্নার আলি বলেন,” আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct