জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদ: দিন কয়েক আগেই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি জানান বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। বিজেপি সাংসদের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা বাংলা জুড়ে। তৃণমূল অভিযোগ তোলে, বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। একইসঙ্গে কোনওভাবেই বাংলকে ভাগ করতে দেওয়া হবে না বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যেই জন বার্লার বিরুদ্ধে কোচবিহারে এফআইআর-ও দায়ের করেছেন এক তৃণমূল নেতা।
সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বহরমপুর দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ জন বার্লার মন্তব্য পরিপ্রেক্ষিতে বলেন "বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত আগেও হয়েছে, কখনও গোর্খাল্যান্ড তো কখনও কামতাপুরী আন্দোলনকে সামনে রেখে। উত্তরবঙ্গে বরাবর একটা এই ধরনের রাজনীতি হয়ে থাকে। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন থামানো হয়েছে, কিন্তু কামতাপুরী আন্দোলন কী অবস্থায় রয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই। সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সেখানকার মানুষের সমৃদ্ধি হবে, এইরকম একটা রাজনৈতিক প্রচার স্বাধীনতার পর থেকেই রয়েছে। বিজেপিরও এটা পরিকল্পিত প্রচার।"
এছাড়াও জন বার্লার মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ যাতে নিজেদের বঞ্চিত মনে না করে সেটাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেখতে হবে। তিনি বলেন, শিল্প যা দক্ষিণবঙ্গে হয়েছে তা উত্তরবঙ্গে হয়নি। এই ব্যবধান মেটানোর জন্য সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বিজেপি বা অন্য কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যাতে উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে সংকীর্ণতা প্রবেশ করাতে না পারে সেই জন্য সরকারকেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলেন, "বিজেপি সংগঠিত দল, তাই তাদের দলের একনেতার কথা অপরনেতা জানেন না তা বিশ্বাস করি না। এটা একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত।" এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিন করোনা মহামারিতে পৌরসভার ভোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অধীর বলেন, "আগে মানুষের জীবন, তার পর ভোট। আমি দিল্লি থেকে এখানে এসে আমাদের কর্মীদের বলেছি মানুষ যে কোনো সমস্যায় পড়ুক তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আগে মানুষের জীবন।"
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct