আপনজন ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কোনও রকম জাঁকজমক ছাড়াই বিসর্জন হচ্ছে শহরে। সোমবার বিজয়া দশমীর দিনে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে করোনা সচেতনতা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিমা বরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় পিপিই বা পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্টে। বরাবরের চেনা ছবি বিজয়া দশমীর দিনে সিঁদুর খেলা এবার বন্ধ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। তাই বিজয়া দশমীর দিনে যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যতে এবছর তা একেবারেই প্রায় উধাও হয়ে যায়। যদিও কিছু মণ্ডপে মহিলারা পিপিই কিট পরেই ধুনুচি নাচ করেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান। কারণ, পুজো কমিটিগুলোর নজর ছিল যেন কোনওভাবেই হাইকোর্টের নির্দেশ লংঘন না হয়। একই ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে, শহরে কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশ সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা এবং বিসর্জন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার কাজ খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শোভাযাত্রা বন্ধ থাকায় বিসর্জন যাতে সুষ্ঠুভাবে মেটানো যায় তা খতিয়ে দেখলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
উৎসবের মেজাজহীন পরিবেশে কোনও ধরেন বাদ্যযন্ত্রের দাপট ছাড়াই সকাল থেকেই বিসর্জন পর্ব শুরু হয়। বারে বারে সেখানে গিয়ে বিশেষ তদারকি করেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভা সূত্র জানা গেছে, এদিন প্রায় ২৪টি ঘাটে বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। সব ক্ষেত্রেই কলকাতা পুরসভার কর্মীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিসর্জনের পর পুরকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে প্রতিমার কাঠামো থেকে শুরু করে ফুল সবই তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় যাতে গঙ্গায় দূষণ না হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct