এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর লড়াইয়ে প্রাণ গেল প্রথম স্বামী মো. শাহ আলম বিশ্বাসের। লড়াই হওয়ার ১০ দিনের মাথায় ঢাকা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহ আলম। দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমান হাওলাদারের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সকালে শাহ আলমের লাশ তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় পশ্চিম খাদা গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে নূপুর বেগমের (৩৫)। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল দাম্পত্য কলহ। এ কারণে শাহ আলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন নূপুর বেগম। এ নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ২২ জুলাই রাত ১২টার দিকে প্রথম স্বামী শাহ আলম বিশ্বাস চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমানকে। এসময় রহমানের আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে শাহ আলমকেও আটকে বেদম মারধর করে। প্রথম পর্যায়ে গুরুতর আহত দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমানের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছিল। যার ফলে, প্রথম স্বামী শাহ আলমকে মারধরের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। ভীতসন্ত্রস্ত আত্মীয়রা শাহ আলমকে ওই রাতে গোপনে শরণখোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত খুলনা মেডিক্যালে রেফার্ড করান। পরবর্তীতে খুমেকে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় শাহ আলমকে। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct