সম্প্রীতি মোল্লা , কলকাতা,আপনজন: মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এর এজলাসে হাওড়ার আমতায় আনিস মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মামলার শুনানি চলে। 'আত্মহত্যা করেননি আনিস। বরং তিনি দুর্ঘটনাজনিত হত্যার শিকার'। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এইরকমই জানালেন রাজ্যের এজি। পাশাপাশি এদিন সওয়াল পর্বে তিনি স্বীকার করে নিলেন পুলিশের গাফিলতির কথা। পুলিশের ভূমিকায় রাজ্য যে সন্তুষ্ট নয়, সেটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এজির বক্তব্যে। এদিন বলেন, -' আনিস খানকে মারার উদ্দেশ্য ছিল না পুলিশের। পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু পুলিশ যে ভাবে এসেছিল, বা তদন্ত করেছিল তা সঠিক ছিল না'।আমরা অভিযুক্ত পুলিশের পক্ষে সওয়াল করছি না। আত্মহত্যা হয়েছে, এ কথাও বলা হচ্ছে না। এটা দুর্ঘটনাজনিত হত্যা। কিন্তু, এখানে কোনও সাক্ষী নেই। সেটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। নিদিষ্ট আইন মেনে পুলিশি তল্লাশি হয়নি।আমি স্বীকার করছি ঘটনাস্থলে পুলিশ উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেনি। তাদের উচিত ছিল আনিসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। রেড আইন মাফিক কাজ হয়নি। তবে, আনিসকে খুন করা হয়েছে এমন কোনও তথ্য তদন্তে উঠে আসেনি।' এজি আরও বলেন -' গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে এসএসকেএম-এর চিকিত্সক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
১ মে'র ময়নাতদন্তে ৪ থেকে ৭ দিনের পুরনো গভীর বাদামী ক্ষতের সঙ্গে ঘর্ষনের উল্লেখ রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শক্ত পৃষ্ঠে পড়ে যাওয়ার কারণে প্রধান আঘাত লাগে। ৩ ফুট দূরে রক্ত পড়েছিল।পুলিশের গাফিলতি আড়াল করা হবে না। তবে কোথাও খুনের প্রমাণ মেলেনি'। অপরদিকে সিটের বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন আনিসের পরিবারের আইনজীবী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ''মৃত্যুর আগে দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিন্তু সেটা উপেক্ষা করছে সিট । ঠেলে ফেলা বা পরে যাওয়ার ইঙ্গিত আছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সিট সেটাও অস্বীকার করছে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৭ জুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct