আপনজন ডেস্ক: দীর্ঘ ২০ দিন ধরে ইউক্রেনে চলছে রুশ হামলা। ভ্লাদিমির পুতিনের সৈন্য দলের আগ্রাসনে ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। রুশ বাহিনীর আগ্রাসনের বিরোধিতা করে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সকল ক্লাব ও জাতীয় দলকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে ফিফা ও উয়েফা। ফুটবলের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্পোর্টিং স্পিরিটের পরিপন্থী বলে দাবি করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিল করে রাশিয়ান ফুটবল ইউনিয়ন (আরএফইউ)। তাদের প্রচেষ্টা এখনো দেখেনি সফলতার মুখ। দেশটির ফুটবলের ওপর উয়েফার দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে সিএএস। মঙ্গলবার এই রায় দেয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। সিএএসের এই রায় শুধু উয়েফার প্রতিযোগিতায় প্রযোজ্য হবে। ফিফার নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। যাতে তারা চলতি মাসের শেষের দিকে হতে যাওয়া বাছাইয়ের প্লে-অফে খেলার সুযোগ পায়। নির্বাসিত হওয়ার কারণে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফে থেকে বাদ পড়ে রাশিয়া। ২০২২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না তাদের নারী দল।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্লে-অফের সূচি অনুযায়ী আগামী ২৪শে মার্চ পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার কথা ছিল রাশিয়ার। ম্যাচটি রাশিয়া জিতলে সেখানেই ২৯শে মার্চ সুইডেন অথবা চেক প্রজাতন্ত্রের মুখোমুখি হতো তারা। রুশদের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপা লীগ থেকে ছিটকে গেলো ক্লাব স্পার্তাক মস্কো। শেষ ষোলোর ড্রয়ে আরবি লাইপজিগকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল তারা। রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রমের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তিও বাতিল করেছে উয়েফা। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ও ইউরো ২০২৪ আসরের স্পন্সর ছিল গাজপ্রম। দুই প্রতিবেশী দেশের কয়েক সপ্তাহের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও জল পথে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর থেকে একে একে রাশিয়ার ক্রীড়া মহলে নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গ থেকে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল প্যারিসে সরিয়ে নিয়েছে উয়েফা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct